দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নন্দিনী সুন্দর-সহ ১০ জনকে চার সপ্তাহের আগাম নোটিস ছাড়া গ্রেফতার বা জেরা করা হবে না। আজ সুপ্রিম কোর্টকে এই কথা জানিয়েছে ছত্তীসগঢ় সরকার।
ছত্তীসগঢ়ের সুকমা জেলায় গত শুক্রবার খুন হন শ্যামনাথ বাঘেল নামে এক আদিবাসী। মাওবাদী-বিরোধী আন্দোলনের নেতা শ্যামনাথের হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর স্ত্রীর দায়ের করা এফআইআর-এ নাম ছিল নন্দিনী-সহ ১১ জনের। সেই সমস্ত অভিযোগ ভুয়ো বলে দাবি করেছেন নন্দিনী। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে ছত্তীসগঢ় সরকারকে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, নন্দিনী-সহ বাকিদের জেরা বা গ্রেফতার করতে গেলে চার সপ্তাহ আগে তাঁদের নোটিস দিতে হবে। তা না হলে তাঁদের কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। ছত্তীসগঢ় সরকার জানিয়েছে, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে চার সপ্তাহ আগেই নোটিস পাঠানো হবে অভিযুক্তদের।
এ দিনই কোর্টে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন নন্দিনী। তাঁর আবেদন, এলাকায় শান্তি ফেরাতে রাজ্য ও মাওবাদীদের মধ্যে আলোচনার দরকার। আর সেই আলোচনায় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির মতো কিছু তৃতীয় ব্যক্তির হস্তক্ষেপও চাওয়া হয়েছে। নন্দিনী বলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বারবারই তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের দরকার পড়েছে। তাতে সুবিধেও হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তা-ই হবে বলে আশা করছি।’’ এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ছত্তীসগঢ়ের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা।