অভিযুক্ত যুবক। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
এ ভাবেও অপরাধী পাকড়াও করা যায়! এবং মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই! অবাক করা কাণ্ডটি সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে।
মুম্বইয়ের খারের ঘটনা। দুই তরুণী অটোয় চড়ে কাজে যাচ্ছিলেন। অটোর নম্বর এমএইচ ০২ ইএফ ৫৫৬৩। হঠাত্ই অটোর পাশে হাজির হয় একটি বাইক। যুবক চালক কিছুটা পথ অটোর পাশাপাশি যাওয়ার পরেই বাইক চালাতে চালাতে ওই দুই তরুণীকে দেখিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে হস্তমৈথুন শুরু করেন। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠতে কয়েক মিনিট সময় লাগে অটোর পিছনের আসনে বসা ওই তরুণীদের। তবে, এর পরে তাঁরা কোনও প্রতিবাদ করেননি। চিত্কার করে লোক ডাকেননি, বা অটোও থামাতে বলেননি। ভিতরের দিকে বসে থাকা তরুণী তাঁর মোবাইল বের করে যুবকটির ওই কাজকর্মের ছবি তোলা শুরু করেন। এবং সঙ্গে সঙ্গেই তা পোস্ট করে দেন মুম্বই পুলিশের টুইটার হ্যান্ডল-এ।
টুইটারে মুম্বই পুলিশকে জানানো অভিযোগে ওই তরুণী লেখেন, ‘এই লোকটি আমার বন্ধুকে দেখে স্বমৈথুন করছিল। আজকেই এটা হয়েছে। দয়া করে ব্যবস্থা নিন।’ গত ১২ জুলাই বিকেল ৪টে ১৮ মিনিটে পোস্ট করা ওই তরুণীর টুইটারের জবাব আধ ঘণ্টার মধ্যেই দেওয়া হয় মুম্বই পুলিশের তরফে। সেখানে বলা হয়, ‘আমরা আপনাদের অভিযোগ পেয়েছি। ডির্কেট মেসেজে সবিস্তার জানান। আমরা অবশ্যই দেখব।’ এর পরেই ওই যুবক এবং তার বাইকের ছবি তুলে ফের পোস্ট করেন তাঁরা। এর ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই বান্দ্রার বাসিন্দা রইশ লিয়াকত কুরেশি নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ওই তরুণীরা লজ্জায় পড়লেও আসল কাজটি করেছিলেন বলেই অপরাধীকে ধরা সম্ভব হয়েছে। নিজেরা ঘাবড়ে না গিয়ে, চিত্কার চেঁচামেচি না-করে ছবি পাঠিয়ে যে ভাবে আমাদের সাহায্য করেছেন, তা প্রশংসার যোগ্য।
জনসংযোগ বাড়াতে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের তরফে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। কখনও ব্যানার-হোর্ডিং-পোস্টার লাগিয়ে, কখনও বা সংবাদ মাধ্যম-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দিয়ে। ইদানীং কালে দিল্লি, কলকাতা, মুম্বইয়ের মতো বিভিন্ন নগর পুলিশ ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াকেও জন সংযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। এমনকী, সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ এবং অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু, মুম্বই পুলিশ যে তত্পরতার সঙ্গে তিন ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল, তাতে বিভিন্ন মহল তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।