আসু-র দফতরে ভাঙচুরে অভিযুক্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব প্যারেলালকে। ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। বিধানসভার স্পিকার হিতেন্দ্রনাথ গোস্বামী জানিয়েছেন, সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল সম্প্রীতির বার্তা দিতে ধেমাজি সফরে যাবেন।
গত কাল ‘নিখিল ভারত বাঙালি উদ্বাস্তু সমন্বয় সমিতি’ ধেমাজির শিলাপাথারে জনসভা করে। বিকেলে সভাস্থল থেকে মিছিল বের হয়। অভিযোগ, কয়েক জন হঠাৎ আসু দফতরে হামলা চালায়। জেলাশাসক, এসপি সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। সিআরপি ও রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের জওয়ান মোতায়েন করা হয়। গোলাঘাটেও অশান্তি হয়।
আজ বিধানসভায় ঘটনার নিন্দা করে সব দল। অগপর ফণীভূষণ চৌধুরী দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। তিনি জানান— ওই সংগঠনটি নগাঁও, মরিগাঁও, মায়াংয়েও সভা করবে। তার অনুমতি যেন না দেওয়া হয়। কংগ্রেসের দেবব্রত শইকিয়ার মতে, ২০০৫ সালে গঠিত ওই সংগঠনের সভাপতি নাগপুরের মানুষ। হাইকোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হোক। ইউডিএফের আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘পড়শি রাজ্য থেকে মানুষ এসে অশান্তি ছড়ানোর প্ররোচনা দিচ্ছে।’’ অগপর প্রদীপ হাজরিকার মতে, সকলে মিলে এই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। কংগ্রেসের রেকিবুদ্দিন আহমেদ ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি জানান, অসম চুক্তির পর এমন ঘটনা ঘটেনি। রাজ্যে সব জাতি ও গোষ্ঠীর সম্প্রীতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনও ষড়যন্ত্র বা তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই সমিতির সভাপতি সুবোধ বিশ্বাসের বক্তব্য ও অতীত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজ্যের সব বঙ্গভাষী সংগঠন ঘটনার নিন্দার সরব হয়েছে। সকলেই জানিয়েছে— বহিরাগত কিছু নেতা, যাঁরা অসমকে চেনেই না, তাঁদের উস্কানিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। আসু উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে আসুর লড়াই চলবে। এই ধরণের আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।’’