গৃহের অভিলাষ মানুষের চিরকালীন। বহুমূল্য ফ্ল্যাটের অধিকারী থেকে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ, যাঁদের অন্তত নিজস্ব একখানি গৃহ আছে। কোনও না কোনও কারণে তাঁরা প্রায় সবাই অসুখী। উদ্বিগ্ন আর ভাগ্যাহত। মানুষের এই অসুখী অবস্থার কারণ নানা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই বিচার বা বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। কিন্তু, বাস্তু বিজ্ঞানের নিরিখে গৃহ বিন্যাস বা তার অভন্তরীণ সাজসজ্জায় স্রেফ একটু পরিবর্তন বা রীতি অনুসরণ করে চললেই মানুষ কী ভাবে তার দুর্ভাগ্যকে অতিক্রম করে সৌভাগ্য লাভের অধিকারী হয়ে উঠতে পারে দেখা যাক—
মা লক্ষীকে চিরস্থায়ী ভাবে বেঁধে রাখার উপায়
১। ঘরের উত্তর- পূর্ব কোনকে ঈশান কোণ বলা হয়। এই কোন সবসময় পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন শাস্ত্রে বলে এই কোণে বাস্তু দেবতার মাথা থাকে।তাই পারলে সকাল ও সন্ধায় এই কোণে ধূপ ও দীপ অবশ্যই দেখান।
২। সকালে অবশ্যই তাড়াতাড়ি বিছানা ত্যাগ করুন।রাত্রে যে কাপড় পরে শুয়েছিলেন সেই কাপড় অর্থাৎ বাসি কাপড় বদলে নিয়ে তবেই রান্না ঘরে প্রবেশ করা উচিত।
৩। সকালে অবশ্যই ঘরদোর পরিস্কার করুন।যদি আপনার কাজের লোক পরে আসে তাহলে অল্প পরিস্কার করে ঘরে অবশ্যই ধূপ ধরান।যদি কোন সুগন্ধি ধূপ ধরাতে পারেন দেখবেন আপনার ঘরে অশান্তি হবে না এবং দিনটি ও ভাল ভাবে কেটে যাবে।
৪। সকালে সদর দরজা খোলার পর অবশ্যই দরজার পাশে এক ঘটি জল ঢালুন।এটা আপনার জীবনে সমৃদ্ধি আনবে। যারা ফ্ল্যাটে থাকেন তাদের পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। সে জন্য তারা অল্প জল ছিটিয়ে দিন।
বিঃ দ্রঃ- বাস্তুশাস্ত্রের কোন জাত নেই। বাস্তু হল স্থাপত্যের কলা ও বিজ্ঞান । বাস্তু যে মানবে ফল তারই, কারণ বাস্তু উপদেষ্টা বিশ্বর্কমা বলেছেন,এ শাস্ত্র সকল মানবের কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। অনুরুপভাবে সকল পাঠকগণের স্বামী বিবেকবন্দের এই বানী স্মরণ রাখা উচিত।
(এই যুগে কর্মযোগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা উচিত।)