সময়ে খান চিয়া বীজ। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরে ঘরে এখন চিয়াবীজের জয়ধ্বনি। স্বাস্থ্যসচেতন বাঙালির মন জয় করে নিয়েছে এই বীজ। রোগা হওয়ার কথা ভাবলেই প্রথমেই মনে আসে চিয়ার কথা। দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে চিয়া বীজ। পৃথিবী এ দিক থেকে ও দিক হয়ে গেলেও, চিয়ার জল খেতে ভোলেন না কেউই। যদিও পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন ঝরানোর সঙ্গে চিয়াবীজের প্রত্যক্ষ কোনও যোগ নেই। সব চেষ্টা ছেড়ে শুধু চিয়া খেলেই রোগা হওয়া যাবে, এই ভাবনা মনে পোষণ করতে বারণ করেছেন পুষ্টিবিদেরা। তবে রোগা হওয়ার সঙ্গে চিয়ার পরোক্ষ সংযোগ অবশ্যই আছে। চিয়ার সুফল পেতে হলে, খেতেও হবে সঠিক সময়ে। দিনের যে কোনও সময় ইচ্ছামতো চিয়া খেলে, আদতে কোন লাভ হবে না। চিয়া খাওয়ার সঠিক সময়গুলি জেনে নিন।
সকালে খালি পেটে
ঘুম থেকে উঠে চায়ের বদলে চুমুক দিতে পারেন চিয়া ভেজানো জলে। এতে পেট দীর্ঘ ক্ষণ ভর্তি থাকবে। সারা দিনে বার বার খাবার খাওয়ার ঝোঁকও কমবে। ঘন ঘন খিদে নিয়ন্ত্রণ করতে চিয়ার জুড়ি মেলা ভার। তবে শুধু চিয়া ভেজানো জল নয়, বীজটাও পেটে যেতে হবে। তবেই মিলবে সুফল।
শরীরচর্চার আগে
জিমে যাওয়ার আগে চিয়া খেলে শরীরে বাড়তি শক্তি পাওয়া যাবে। বাড়িতে ব্যায়াম করলে শুরুতে চিয়া খেয়ে নিলে ভাল। তাতে এনার্জি আসবে শরীরে। দীর্ঘ সময় শরীরচর্চা করার উদ্দীপনা জোগাবে। শরীরচর্চার পরেও চাঙ্গা থাকবে শরীর।
দিনের মাঝামাঝি সময়ে
দুপুরের খাবার খাওয়ার পরেও খেতে পারেন চিয়াবীজ। মধ্যাহ্নভোজের পরে চিয়া খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঊর্ধ্বগামী হওয়ার ঝুঁকি কম। শারীরিক আলসেমি দূর করে কাজে গতি আনতে এই বীজের জুড়ি মেলা ভার।