যাঁরা বহু চেষ্টা করেও ওজন ঝরাতে পারছেন না, তাঁরা এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখতে পারেন। ছবি: শাটারস্টক।
অনেকেই মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। তাই মাঝেমধ্যে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে চিনি ঢোকে শরীরে। রাত বাড়লেই শুরু হয় কেক, পেস্ট্রি, চকোলেট খাওয়ার ইচ্ছে। আবার অনেকে এমনও আছেন যাঁরা সচেতন ভাবে চিনি ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। চিনি দেওয়া কোনও খাবার মুখেই তুলতে চান না তাঁরা। বিশেষ করে যে সব পরিবারে ডায়াবিটিসের রোগীরা রয়েছেন, তেমন পরিবারের বাকি সদস্যদের মনেও ভয় ঢুকে যায়। এর সঙ্গে রয়েছে ওজন কমানোর ইচ্ছা। সব মিলে চিনি খাওয়া বন্ধ করার চেষ্টা অনেকেই করে থাকেন।
কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, ঘুমের ঘাটতি, অত্যধিক মানুষের চাপের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগব্যাধি। স্থূলতা, ডায়বিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আরও একটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হল চিনি খাওয়ার অভ্যাস। ডায়েট থেকে চিনি বাদ দিলে কী কী হতে পারে রইল তার হদিস।
১) যাঁরা বহু চেষ্টা করেও ওজন ঝরাতে পারছেন না, তাঁরা এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখতে পারেন। মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চিনি খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালরি যায়। যা ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। চিনি খাওয়া বন্ধ করলে ওজন দ্রুত কমে।
২) ঘুম ভাল হয় চিনি কম খেলে। অনেকের ঘুমের গোলমাল হয়। কিন্তু চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।
হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। ছবি: শাটারস্টক।
৩) অনেক সময় কাজের প্রতি অনীহা আসে। শরীরে শক্তির অভাব হয়। এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন শরীর অনেক বেশি চাঙ্গা হবে। কাজের ইচ্ছাও বাড়ে। কর্মক্ষমতা একবারে অনেকটা বেড়ে যায় শুধু চিনি খাওয়া ছাড়লে।
৪) চিনি ছাড়তে পারলে প্রদাহ কমাতেও সাহায্য হয়। হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে বেশি চিনি খেলে। হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন।
৫) ইদানীং মানসিক চাপ আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। অতিরিক্ত চিনি খেলে মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে। এক মাস চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যেও ভাল।