তথ্যচিত্রের একটি দৃশ্য। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
আজ বাড়িতে লক্ষ্মী ঠাকরণের পুজো, তো কালই বিয়ের সানাই বাজবে, আবার রাত পোহালে কখনও জামাইষষ্ঠী কখনও বা অন্নপ্রাশন— যে কোনও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে বাঙালি বাড়িতে একটা কমন ফ্যাক্টর থাকে। কী বলুন তো? আলপনা। কখনও তা শান্তিনিকেতনী কায়দায় রাবিন্দ্রিক, কখনও বা আটপৌরে। এ বার সেই ‘ব্রত আলপনা’কেই তথ্যচিত্রে এক নতুন রূপ দিলেন পরিচালক শর্বরী চৌধুরী। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে দেখানো হবে এই তথ্যচিত্র।
তথ্যচিত্রটি তৈরির আগে প্রায় বছর খানের গবেষণা করেছেন শর্বরী। আলপনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে মহিলাদের মনোবাসনা। এক সময় সেখানে প্রাধান্য পেত স্বামী, সংসার, সন্তান। কিন্তু এখন সেই ভাবনাতেও এসেছে পরিবর্তন।
শর্বরীর কথায়, ‘‘একটা সময় ছিল যখন মহিলাদের জীবন ব্রত ও পুজোর সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকত। প্রতি ব্রতর সঙ্গে জড়িয়ে থাকত তার নিজস্ব প্রতীকী আলপনা। এটা নিয়েই আমার ছবি ব্রত আলপনা।’’
ইতিহাস, পরম্পরা ও জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ব্রত, আলপনা। তাকেই শৈল্পিক আঙ্গিকে ফ্রেমবন্দি করেছেন পরিচালক।