প্রচারে মিঠুন চক্রবর্তী। ইলামবাজারের নাচনসাহা গ্রামে করোনা কালে উপচে পড়া ভিড়ও। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
সভায় অতিরিক্ত ভিড় নিয়ে তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পরে এ বার ইলামবাজারে বিজেপির প্রচারে গিয়ে মঞ্চেই উঠলেন না মিঠুন চক্রবর্তী। হেলিকপ্টার থেকে নেমে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকেই জনতার উদ্দেশ্যে অল্প কিছু বলে আবার কপ্টারে চেপে ফিরে যান বিজেপির তারকা প্রচারক। মহম্মদবাজারের সভায় অবশ্য তিনি বক্তব্য রাখেন।
সোমবার ইলামবাজারের বিলাতি পঞ্চায়েতের নাচনসা গ্রামের ফুটবল ময়দানে বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচারে আসেন মিঠুন চক্রবর্তী। সভা থেকে বারে বারে করোনা সম্পর্কিত দূরত্ব বিধি মানার পাশাপাশি মাস্ক পরার কথা ঘোষণা করা হচ্ছিল। কিন্তু পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মানা তো দূরের কথা অনেকেরই এ দিন মুখে মাস্কও দেখা যায়নি। মিঠুনের হেলিকপ্টার মাটি ছুঁতেই একসঙ্গে বহু মানুষ হামলে পড়েন। তা দেখেই এ দিন প্রথমে কপ্টার থেকে নামতেই চাইছিলেন না মিঠুন। প্রায় ১৫ মিনিট পর হেলিকপ্টার থেকে নীচে নামলেও ভিড় দেখে মঞ্চে ওঠেননি তিনি।
কপ্টারের সামনে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, “এখানে সে ভাবে কোভিড বিধি মানা হয়নি, তাই মঞ্চে যাব না। মঞ্চে গেলে আমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’’ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। মিঠুন বলেন, “এই কাটমানির সরকার মানুষ আর চায়না। আমাদের দলেও যদি কেউ কাটমানি খায় তাহলে এক মিনিটের বেশি সময় নেব না তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে মালদহের বৈষ্ণবনগরের জনসভায় কমিশনের বিধি ভেঙে ৫০০ জনের বেশি ভিড় হওয়ার অভিযোগ তুলে মিঠুনের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানায় তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেন, “মূল সভাস্থলে ৫০০ জনের মতো মানুষ থাকলেও অভিনেতাকে দেখতে ব্যারিকেডের বাইরে বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। সেই কারণেই করোনা বিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয়, সে জন্যই তিনি এ দিন মঞ্চে ওঠেননি।”
এ দিন সাঁইথিয়া বিধানসভার মহম্মদবাজারেও দলের প্রার্থী পিয়া সাহার সমর্থনে প্রচারে যান মিঠুন। সেখানে তাঁর প্রতিশ্রুতি, ‘‘বিজেপি যদি সরকারের আসে তাহলে প্রতিটি হাসপাতালে জেনারেল বেডকে আগে বাতানূকুল করা হবে। যে সমস্ত মহিলারা সরকারি বাসে যাতায়াত করেন তাঁদের কোনও ভাড়া দিতে হবে না।’’
মিঠুনের দাবি, ‘‘সামনের ভোটে বিজেপিকে ভোট দিয়ে পিয়াকে জয়যুক্ত করুন। মনে রাখবেন এটা আপনার অধিকার। আর সেই অধিকারে যদি কেউ ভাগ বসাতে চায় তাহলে রেশন দোকানের উপরে একটি ফোন নাম্বার দেখতে পাবেন সেই নম্বারে ফোন করবেন আপনাদের কাছে ফাটাকেষ্ট হাজির হয়ে যাবে কথা দিচ্ছি।’’