গণনার জন্য বাড়ল টেবিল

অবশেষে দুর্গাপুরের গণনাকেন্দ্রে টেবিলের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। শনিবার কমিশনের তরফে লিখিত ভাবে এ কথা জানানো হয়েছে। এর ফলে গণনার সময় এক ধাক্কায় কয়েক ঘণ্টা কমে যাবে বলে আশা করছে রাজনৈতিক দলগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৬ ০১:১৬
Share:

অবশেষে দুর্গাপুরের গণনাকেন্দ্রে টেবিলের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। শনিবার কমিশনের তরফে লিখিত ভাবে এ কথা জানানো হয়েছে। এর ফলে গণনার সময় এক ধাক্কায় কয়েক ঘণ্টা কমে যাবে বলে আশা করছে রাজনৈতিক দলগুলি।

Advertisement

এ বার দুর্গাপুর পূর্ব, দুর্গাপুর পশ্চিম, পাণ্ডবেশ্বর, গলসি ও রানিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে দুর্গাপুরের সরকারি মহাবিদ্যালয়ে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য একটি করে ঘর নির্দিষ্ট হয়েছে। দুর্গাপুর পশ্চিমের জন্য ১৪, পাণ্ডবেশ্বরের জন্য ১০ এবং দুর্গাপুর পূর্ব, গলসি ও রানিগঞ্জের জন্য ১২টি করে টেবিল রাখা হয়েছে। টেবিলের সংখ্যা না বাড়ালে ভোটগণনা শেষ হতে অনেক সময় লেগে যেত বলে মত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। সেই হিসেবে, দুর্গাপুর পশ্চিমে ২০ রাউন্ড, দুর্গাপুর পূর্বে ২৩ রাউন্ড, পান্ডবেশ্বরের ২৩ রাউন্ড, গলসির জন্য ২৪ রাউন্ড এবং রানিগঞ্জ বিধানসভার গণনা অন্তত ২২ রাউন্ড পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা ছিল।

কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রতি রাউন্ড গণনার জন্য ২০ মিনিট সময় লাগতে পারে বলে ধরা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গণনা শেষ হয় না। কারণ, কোনও বুথের ইভিএমে সমস্যা থাকে। বুথে পড়া ভোট এবং ইভিএমের ভোট সংখ্যার মধ্যে ফারাক থাকলে তা মিটতে সময় লাগে। বেশি ভোটার সংখ্যা রয়েছে এমন বুথে একাধিক ইভিএম মেশিন থাকে। তখনও সময় বেশি লাগে। ফলে রাউন্ড পিছু গড়ে আধ ঘণ্টা সময় ধরতেই হয়। ফলে দুর্গাপুরের পাঁচটি কেন্দ্রের গণনা শেষ হতে বিকেল গড়িয়ে যেতে পারত।

Advertisement

এ দিকে, রাজ্যের গণনার প্রবণতা বহু আগেই জানা হয়ে যাওয়ায় দুর্গাপুরে গণনা কেন্দ্রের বাইরে রাজনৈতিক অশান্তির সম্ভাবনা ছিল। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ সময় ধরে গণনার ফলে কমিশনের গণনা কর্মী বা দলীয় এজেন্টরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করে কমিশনের কাছে চিঠি পাঠায় সিপিএম। শেষ পর্যন্ত শনিবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে টেবিলের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়।

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাণ্ডবেশ্বর বাদে বাকি চার কেন্দ্রের জন্য দুটি করে ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে দুর্গাপুর পশ্চিমে ১২ রাউন্ড এবং দুর্গাপুর পূর্ব, গলসি ও রানিগঞ্জের গণনা ১৪ রাউন্ডে নেমে আসবে। ঘরের সংখ্যা না বাড়লেও পাণ্ডবেশ্বরের টেবিল সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩ রাউন্ডে নামিয়ে আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে দুপুরের মধ্যেই দুর্গাপুরের পাঁচ কেন্দ্রের গণনা সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিপিএমের দুর্গাপুর ২ পূর্ব জোনাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘দুর্গাপুরের মানুষ গণনা কেন্দ্রের আগের ব্যবস্থা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন। নতুন ব্যবস্থায় কয়েক ঘণ্টা আগে গণনা সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement