(বাঁ দিকে) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । —ফাইল চিত্র।
নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে গিয়ে নাম না করে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর পরিবারকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গত মঙ্গলবার ন্যায় যাত্রায় রাহুল বলেছিলেন, ‘‘আমি বারাণসীতে দেখেছি, রাতে বাজনা বাজছে। আর ‘উত্তরপ্রদেশের ভবিষ্যতেরা’ মদ খেয়ে রাস্তায় নাচছেন, শুয়ে পড়ছেন।’’ এই মন্তব্যকেই এ দিনের জনসভায় নিশানা করেন মোদী। বলেন, ‘‘আমি স্তম্ভিত। কংগ্রেসের শাহি পরিবারের যুবরাজ কাশীর মাটিতে দাঁড়িয়ে বলছেন, উত্তরপ্রদেশ ও কাশীর যুব প্রজন্ম ‘নশেড়ি’ (নেশা করেন)! এ কী ধরনের কথা! মোদীকে কটূক্তি করতে করতে ওঁরা দু’বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। এখন উত্তরপ্রদেশের মানুষের উপরে হতাশা উগরে দিচ্ছেন।’’ বারাণসীর তরুণদের ‘মেরে বাচ্চো’ বলে সম্বোধন করে মোদী বলেন, ‘‘যাদের নিজেদেরই বোধবুদ্ধি হরিয়ে গিয়েছে, তারা আমার ছেলেমেয়েদের নশেড়ি বলছে। ‘ইন্ডি জোট’ উত্তরপ্রদেশকে যে অপমান করেছে, তা কেউ ভুলবে না।’’
এ দিকে, রাহুল এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের ছবি। ‘রি-এগ্জ়াম, রি-এগ্জ়াম’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। গত ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি হওয়া উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। রাহুল লিখেছেন, ‘লখনউ থেকে প্রয়াগরাজ, প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে রাস্তায় নেমেছে যুব প্রজন্ম। আর সেখান থেকে একশো কিলোমিটার দূরে বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী তরুণদের নাম করে তরুণদেরই বিভ্রান্ত করছেন। একেবারে বেনারসি কায়দায় বলা যায়, মোদীজি দিদিমার কাছে দিদিমার বাড়ির গল্প করছেন!’
চাকরিপ্রার্থীদের ‘রি-এগ্জ়াম’ স্লোগানকেই এক্স হ্যান্ডলে নিজের পোস্টে তুলে এনেছেন প্রিয়ঙ্কা। লিখেছেন, ‘ভেবে দেখুন, ৪০০ টাকা দিয়ে ফর্ম কিনে তা ভরেছিলেন ৫০ লক্ষেরও বেশি তরুণ।... কোন অবস্থায় রয়েছে এঁদের পরিবার?... সরকার ঘুমোচ্ছে। এঁদের অপমান, লাঠিপেটা করছে।... চাঁদ-মঙ্গলে পৌঁছে যাওয়া দেশ কেন একটি পরীক্ষা নেওয়ার নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থাও করতে পারে না?’