জমি হারানোর ভয়েই জঙ্গিদের প্রত্যাঘাত, কড়া মনোভাব কেন্দ্রের

জোড়া ফাঁসের চাপটা বাড়ছিল গত ছ’মাস ধরেই। এক দিকে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অপারেশন শুরু করেছিল আধা-সামরিক বাহিনী। যার ফলে ধীরে ধীরে নিজেদের পায়ের তলার জমি হারাতে শুরু করে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ বড়োল্যান্ড বা এনডিএফবি (সংবিজিত) গোষ্ঠীর জঙ্গিরা। অন্য দিকে, বড়ো জঙ্গিদের অন্য আর একটি দল, গোবিন্দ বসুমাতারি গোষ্ঠীকে আলোচনার টেবিলে বসাতে সক্ষম হয় কেন্দ্র। দু’পক্ষের এই চাপে কার্যত অস্তিত্বের সংকটে ভুগতে শুরু করেছিল সংবিজিত গোষ্ঠী। সেই ফাঁস আলগা করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই গত কাল পরিকল্পিত হামলা চালায় তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ২২:১৩
Share:

জোড়া ফাঁসের চাপটা বাড়ছিল গত ছ’মাস ধরেই।

Advertisement

এক দিকে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অপারেশন শুরু করেছিল আধা-সামরিক বাহিনী। যার ফলে ধীরে ধীরে নিজেদের পায়ের তলার জমি হারাতে শুরু করে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ বড়োল্যান্ড বা এনডিএফবি (সংবিজিত) গোষ্ঠীর জঙ্গিরা। অন্য দিকে, বড়ো জঙ্গিদের অন্য আর একটি দল, গোবিন্দ বসুমাতারি গোষ্ঠীকে আলোচনার টেবিলে বসাতে সক্ষম হয় কেন্দ্র। দু’পক্ষের এই চাপে কার্যত অস্তিত্বের সংকটে ভুগতে শুরু করেছিল সংবিজিত গোষ্ঠী। সেই ফাঁস আলগা করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই গত কাল পরিকল্পিত হামলা চালায় তারা।

ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় সরকার আজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে ভাবে নিরীহ আদিবাসীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে তা বর্বরতা ছাড়া আর কিছু নয়। এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তাই সংবিজিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাদের হুঁশিয়ারি, প্রয়োজনে একেবারে নির্মূল করে দেওয়া হবে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীকে। জঙ্গিদের চূড়ান্ত আঘাত হানতে আজই ৫০ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী অসমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নামানো হয়েছে আরও ১০ কলাম সেনা-জওয়ান। শুরু হয়েছে ফ্ল্যাগ মার্চ। পাশাপাশি, ৫১টি জায়গায় শুরু হয়েছে সেনাবাহিনীর স্পেশাল এরিয়া ডমিনেশন পেট্রল।

Advertisement

আজ সকালে দিল্লিতে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আলাদা করে বৈঠকে বসেন আই বি প্রধান, সিআরপিএফের ডিজি, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের ডিজি-র সঙ্গে। সরকারি ভাবে ওই দুই বৈঠকের বিষয়ে কিছু জানানো না হলেও সূত্রের খবর, ভারত-ভুটান সীমান্তে লুকিয়ে থাকা ওই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আঘাত হানতে প্রয়োজনে আবার ভুটান সরকারের প্রশাসনের সাহায্য নিতে পারে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, এর আগে আলফার বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ফ্লাশআউট’ চালানোর সময় ভুটান সরকারের সক্রিয় সহায়তা পেয়েছিল ভারত সরকার। ঠিক হয়েছে, পাল্টা-আক্রমণ আরও তীব্র করতে ভুটানের সঙ্গে যৌথ অভিযানের রূপরেখা দ্রুত তৈরি করা হবে। আগামী বছরের শুরুতেই এ নিয়ে দিল্লিতে ভারত-ভুটান চূড়ান্ত বৈঠক করা হবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মনে করছে, যে ভাবে ওই জঙ্গিরা একই সময়ে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে তা থেকে দু’টি বিষয় স্পষ্ট। প্রথমত, একাধিক স্থানে হামলা করে পুলিশ তথা নিরাপত্তাবাহিনীকে বিভ্রান্ত করা। আর দ্বিতীয়ত, যত বেশি সম্ভব ক্ষয়ক্ষতি করা। গোটা হামলাটির মধ্যে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ছক রয়েছে বলেই মনে করছে কেন্দ্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement