এখনও অনিশ্চিত ইরাকে অপহৃত ভারতীয়দের ফেরা

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৪ ২০:৩৮
Share:

অপহৃত ভারতীয় শ্রমিকদের অবস্থান সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হলেও এখনও তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। এমনটাই জানা গিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে। ইরাকে কর্মরত সমস্ত ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ইরাকে আটকে পড়া ভারতীয়দের দু’টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এক, যে সব জায়গায় যুদ্ধ চলছে না, সেই সমস্ত জায়গায় যাঁরা রয়েছেন। দুই, যে সব জায়গায় যুদ্ধ চলছে সেখানে যাঁরা আছেন। আপাতত এই দ্বিতীয় শ্রেণির ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, যুদ্ধের জন্য প্রায় ১২০ জন আটকে গিয়েছেন। এর মধ্যে মসুলে অপহৃত ৩৯ জন শ্রমিক এবং তিকরিত-এ আটকে থাকা ৪৬ জন নার্স রয়েছেন। শুক্রবার ১৬ জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয়দের ইরাকে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছেন, আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

ভারতে ইরাকের রাষ্ট্রদূত আহমেদ তাহসিন আহমেদ বেরওয়ারি জানিয়েছেন, অপহৃত ভারতীয়দের উদ্ধারের বিষয়ে ভারত সরকারে সঙ্গে একযোগে কাজ চলছে। তিনি বলেন, “গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, মসুলে অপহৃতরা নিরাপদে আছেন। তাঁদের উদ্ধারের জন্য সব পথেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ইরাকের এই অঞ্চলগুলি আপাতত আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই সব জায়গায় যে সব ভারতীয় রয়েছেন তাঁদের বাড়ির ভিতরে থাকার অনুরোধ করছি।” তিনি জানান, সংঘর্ষ সত্ত্বেও ইরাক থেকে ভারতে তেল আমদানিতে কোনও ঘাটতি হয়নি।

Advertisement

এ দিন আমেরিকার পাশাপাশি শিয়া ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লা আলি আল-সিসতানিও প্রধানমন্ত্রী মালিকির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি ইরাকের এই অবস্থার জন্য মালিকিকে দায়ী করেন। সমস্যা সমাধানের জন্য ইরাকে সংখ্যালঘু সুন্নি ও কুর্দদের সঙ্গেও কথা বলা দরকার বলে তিনি জানান। এ দিকে মার্কিন প্রশাসনের তরফেও মালিকি অপসারণের দাবি জোরালো হচ্ছে। এ বছরের এপ্রিলেই ভোটে জিতে মালিকি সরকার ক্ষমতায় আসে। মালিকির জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর পদে বেশ কয়েকটি নাম শোনা যাচ্ছে। এ সপ্তাহে আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট জন কেরি ইরাকে যেতে পারেন বলে খবর।

অন্য দিকে, সিসতানির ডাকে সাড়া দিয়ে অসংখ্য শিয়া ইরাকি সেনায় নাম লেখাতে বাগদাদে ভিড় জমাচ্ছেন। আর এক শিয়া ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল-সাদর অনুগামীরা অস্ত্র নিয়ে বাগদাদে প্যারেড করে। এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। এ দিকে জঙ্গিরা এ দিন সিরিয়া ও ইরাকের মাঝে কোয়াইম চেকপোস্টটি দখল করে নেয়। ফলে এই অঞ্চলের রসদ সরবরাহের প্রধান সড়কগুলি জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement