জেহাদিদের ছকে অসমের পাঁচ-ছ’টি জায়গায় একই সময়ে হামলা চালাল এনডিএফবি (সংবিজিৎ) বাহিনীর বড়ো জঙ্গিরা। স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের গুলিতে ঝাঁঝরা হলেন আট থেকে আশির অনেকে। পুলিশের আশঙ্কা, জঙ্গি হানায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০ জন। তবে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ৪০ জন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শোণিতপুরের বাতাসিপুর, পাভৈ, হাতিজুলি এবং কোকরাঝাড়ের পাখিরিগুড়ি, উল্টাপানি, মধুপুর, সেরফাংগুড়িতে হানা দেয় সশস্ত্র জঙ্গিরা। আদিবাসী গ্রামগুলিতে ঢুকে তারা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। রাত পর্যন্ত ভুটান এবং অরুণাচলের সীমানা সংলগ্ন গ্রামগুলি থেকে হতাহতদের বিস্তারিত হিসাব পাওয়া যায়নি। জখমের সংখ্যা আরও বেশি। শোণিতপুরের এসপি সংযুক্তা পরাশর জানিয়েছেন, পাখিরিগুড়িতেই প্রথম হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেখানে মৃত্যু হয় সোনাই মুর্মূ (১০), সুনিতা হালদার (১৬), মরিয়ম মুর্মূ (৪৫) এবং মুন্নি বেসরার (২৭)। আহত হন কয়েক জন। অসমর্থিত সূত্রে খবর, শোণিতপুরের মৈতালুবস্তিতেও হানা দিয়েছে জঙ্গিরা। সেখানেও অনেকে হতাহত হয়েছেন। প্রত্যন্ত ওই সব এলাকার দিকে নিরাপত্তা বাহিনী রওনা দিয়েছে।