প্রথমে তিনি রুড়কি থেকে বি টেক পাশ করেছিলেন। তার পর আবার দেহরাদূন থেকে আইনের ডিগ্রি। চাকরি শুরু করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষেবায়। তার পরে যোগ দেন রাজস্ব বিভাগে। দীর্ঘ দিন প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন। নানা রাজ্যের মতো গুজরাতেও আয়কর দফতরের প্রিন্সিপাল কমিশনার ছিলেন। সে সময়ই তৈরি হয়েছিল আমদাবাদের বিশাল আয়কর ভবন। সেই ভবন তৈরি করতে তখন নাকি নিজের পুরনো ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যাকে কাজে লাগিয়েছিলেন সুশীল চন্দ্র। এই সুশীল চন্দ্রই এ বার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের মাঝখানে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তার পরেই কোভিডের সময় বিশাল বিশাল জনসভার অনুমতি দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন তোপের মুখেও পড়েছে। তবে সুশীল বোধ হয় নিজেও জানেন, তাঁর আসল চ্যালেঞ্জ এ বছর নয়— ২০২২-এর উত্তরপ্রদেশের ভোট।
গুরুদায়িত্ব: নিজের কার্যালয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র।
রেগে গেলেন রমণা
কোভিডের সময়। তাই রাষ্ট্রপতি ভবনে নতুন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার শপথগ্রহণ ‘নমো নমো’ করেই সেরে ফেলা হল। তাঁকে শপথগ্রহণ করালেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আগামী বছর কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন যিনি রাষ্ট্রপতি হবেন, তাঁকে প্রধান বিচারপতি রমণাই শপথগ্রহণ করাবেন। দায়িত্ব নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের আধিকারিকদের উপরে চটে গিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। ভার্চুয়াল শুনানি চলছে এখন। নতুন প্রধান বিচারপতি তাঁর বেঞ্চে শুনানি শুরু করতে গিয়েই দেখলেন, আইনজীবীদের কথা কিছুই শোনা যাচ্ছে না। চটে গিয়ে প্রধান বিচারপতি কোর্টমাস্টারকে বললেন, “হচ্ছেটা কী? আপনারা ঠিকমতো মাইক্রোফোনেরও বন্দোবস্ত করতে পারেন না!”
হাত বাড়াবেন প্রিয়ঙ্কা?
উই শ্যাল ওভারকাম! মোদী সরকার ব্যর্থ হলেও সাধারণ মানুষ একে অপরকে সাহায্য করছেন। অন্ধকারের পরে আশার আলো দেখা যাবেই। এই মর্মেই প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। প্রিয়ঙ্কার নিজের পরিবারে প্রথমে স্বামী রবার্ট বঢরা, তার পরে দাদা রাহুল গাঁধী কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। প্রিয়ঙ্কা তাই ফেসবুকে সাধারণ মানুষের কাছে একে অন্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। প্রিয়ঙ্কা উত্তরপ্রদেশে দলের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেও সকলকে বলেছেন, সাধারণ মানুষের সাহায্যে যতখানি সম্ভব এগিয়ে যেতে। প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, “দেশের মানুষ অক্সিজেন, ওষুধ এবং চিকিৎসার জন্য লড়াই করছেন। এই লড়াইয়ে আমরা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে একত্রে শামিল হয়েছি। এই মারণ ভাইরাস এ সব ভেদাভেদ গ্রাহ্য করে না। আমরা একে অপরের সবচেয়ে বড় অবলম্বন হয়ে উঠব। আমরা জিতবই।” তাঁর এই ফেসবুক পোস্ট বাংলা, ওড়িয়া, তামিল, মালয়ালমে অনুবাদ করে কংগ্রেস ছড়িয়ে দিয়েছে। দলের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে, প্রিয়ঙ্কাকে কি এ বার উত্তরপ্রদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা দেশেই তুলে ধরতে চাইছেন সনিয়া গাঁধী!
কাজের মানুষ দিলীপ
এক সময় তিরন্দাজ ছিলেন। বই লিখেছেন। গানের অ্যালবামও রয়েছে। কিন্তু দিল্লির তিমারপুরের আম আদমি পার্টির বিধায়ক দিলীপ কুমার পান্ডেকে এত দিন কত জনই বা চিনতেন! নতুন করে কোভিড সঙ্কটের সময় বহু মানুষের সহায় হয়ে উঠেছেন দিলীপ। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ। কিন্তু দিলীপ নিজের উদ্যোগে বহু মানুষকে হাসপাতালের বেড থেকে অক্সিজেন, ওষুধ জোগাড় করে দিয়েছেন। এ বার নিজেই কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তার পরেও বাড়িতে বন্দি অবস্থাতেই দিলীপ কাজ করে চলেছেন সাধারণ মানুষকে সাহায্য পৌঁছে দিতে।
সহায়: দিলীপ কুমার পান্ডে।
বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে
দশ বছর প্রধানমন্ত্রিত্বকালে বার বার পাকিস্তান সফরে যেতে চাইতেন মনমোহন সিংহ। সে দেশের সঙ্গে সীমান্তকে অপ্রাসঙ্গিক করার কথা বলতেন কাশ্মীরের গোল টেবিল বৈঠকে। পঞ্জাব প্রদেশে তাঁর জন্ম। তাঁর মন্ত্রিসভার (বিশেষত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের) আপত্তিতে তা হয়নি। কিন্তু পাক জনতা ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাঁকে শ্রদ্ধা করেন। তাঁর কোভিড ধরা পড়তেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আরোগ্য কামনায় টুইট করেছেন। মনমোহনের সময়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষেই এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী। টুইটে মনমোহনের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।