টুকরো খবর

লাভজনক ভাবে ব্যবসা করতে না-পারলে, মোবাইল ফোন তৈরি থেকে সরে যেতে পারে ব্ল্যাকবেরি। বৃহস্পতিবার এ কথা জানান কানাডীয় সংস্থাটির সিইও জন শেন। তাঁর দাবি, যদি এই ব্যবসা থেকে লাভই না-হয়, তা হলে তা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে লাভ বলতে তিনি ঠিক কোন অঙ্ককে বোঝাচ্ছেন, তা স্পষ্ট করে জানাননি শেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৩২
Share:

লাভজনক না-হলে মোবাইল তৈরির ব্যবসা বিক্রি করতে পারে ব্ল্যাকবেরি
সংবাদ সংস্থা • নিউ ইয়র্ক ও টরন্টো

Advertisement

লাভজনক ভাবে ব্যবসা করতে না-পারলে, মোবাইল ফোন তৈরি থেকে সরে যেতে পারে ব্ল্যাকবেরি। বৃহস্পতিবার এ কথা জানান কানাডীয় সংস্থাটির সিইও জন শেন। তাঁর দাবি, যদি এই ব্যবসা থেকে লাভই না-হয়, তা হলে তা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে লাভ বলতে তিনি ঠিক কোন অঙ্ককে বোঝাচ্ছেন, তা স্পষ্ট করে জানাননি শেন। আগে ধুঁকতে থাকা এই স্মার্ট ফোন বহুজাতিককে কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতীয় বংশোদ্ভুত প্রেম বৎসের সংস্থা ফেয়ারফ্যাক্স ফিনান্সিয়াল হোল্ডিংস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয়ে গেলেও, ভবিষ্যতে বিক্রির রাস্তা খোলা রেখেছিল ব্ল্যাকবেরি। তার পর এ দিন মোবাইল তৈরি বন্ধের সম্ভাবনাও শোনা গেল শেনের গলায়। তাঁর দাবি, আগামী দিনে কর্পোরেট সংস্থা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য আদানপ্রদানের সুরক্ষিত ব্যবস্থা গড়ে তোলাই লক্ষ্য হবে তাঁদের। পাশাপাশি, বিভিন্ন যন্ত্রের মধ্যে যাতে সমন্বয় গড়ে তোলা যায়, সেই প্রযুক্তি গড়ার কাজও করবে সংস্থা। এই প্রযুক্তিই সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শেন। তবে এ ক্ষেত্রেও কোনও সময়সীমা উল্লেখ করেননি। ব্ল্যাকবেরি নিয়ে অবশ্য আশা ছাড়তে রাজি নন প্রেম বৎস। ফেয়ারফ্যাক্সের বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁর দাবি, ভবিষ্যতে ঘুরে দাঁড়াবে ব্ল্যাকবেরি। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে সংস্থাটিতে লগ্নি করলে, তা ভাল ফল দেবে। উল্লেখ্য, শেন-কে সিইও নিযুক্ত করার পাশাপাশি নভেম্বরে বৎসকে পরিচালন পর্ষদে লিড ডিরেক্টর নিযুক্ত করেছিল ব্ল্যাকবেরি।

Advertisement

দেনা মেটাতে সম্পত্তি বেচতে চায় সুজলন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

তুলসী তাঁতি।— নিজস্ব চিত্র।

বাজারে মোট দেনা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাঙ্কের কিছু ঋণ ঢেলে সাজার প্রক্রিয়াও চলছে। এ বার দেনার চাপ আরও কমাতে ভারতের কিছু সম্পত্তি বিক্রি করার কথা ভাবছে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সুজলন এনার্জি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সংস্থার সিএমডি তুলসী তাঁতি সিআইআইয়ের তরুণ প্রজন্মের শাখা ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান্স’-এর প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন। সেই অনুষ্ঠানের ফাঁকেই তাঁতি জানান, ভারতে কম গুরুত্বপূর্ণ কিছু সম্পত্তি বিক্রির কথা ভাবছেন তাঁরা। কারণ, সেগুলির বাজার দর এখন যথেষ্ট বেশি। মূল্য প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। আমেরিকাতেও একটি সংস্থা তাঁরা সম্প্রতি বিক্রি করেছেন। প্রসঙ্গত, বায়ুবিদ্যুৎ শিল্পে বিশ্বের প্রথম পাঁচ সংস্থার অন্যতম ভারতের সুজলন। এক সময় তাদের উত্থান বিশ্বে নজর কাড়লেও এখন সার্বিক ভাবেই পুরো শিল্পে মন্দা। তবে তাঁতি আশাবাদী, শীঘ্রই এই শিল্পে সুদিন আসতে চলেছে।

ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে আরও কড়া সেবি
সংবাদ সংস্থা• নয়াদিল্লি

পশ্চিমবঙ্গ, অসম-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে আরও কঠোর হচ্ছে সেবি। বিভিন্ন সূত্রে খবর, এর মধ্যে অনেক সংস্থাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সারদা ও রোজ ভ্যালি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। এদের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। সেই টাকা ফেরানো ও সংস্থাগুলিকে জরিমানা করার কাজও শুরু করেছে সেবি। নিচ্ছে আইনি ব্যবস্থাও। উল্লেখ্য, আগেই পশ্চিমবঙ্গের এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে সেবি।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কমিটির সুপারিশ
সংবাদ সংস্থা • মুম্বই

গৃহঋণ-সহ পরিবর্তনশীল (ফ্লোটিং) সুদে নেওয়া বিভিন্ন ঋণ শোধের বিষয়টি গ্রাহকদের কাছে আরও স্বচ্ছ করার প্রস্তাব দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কমিটি। কথা আছে, ওই সব পরিবর্তনশীল সুদে দেওয়া ঋণের জন্য একটি নতুন ‘বেঞ্চমার্ক’ চালু করতে পারে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন। যার নাম ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস বেস রেট (আই বি বি আর)। আইবিবিআর-কে প্রথমে গৃহঋণে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর আনন্দ সিংহের নেতৃত্বধীন ওই কমিটি।

বন্ডের বাজারে ফেরার মুখেই বিস্ফোরণ। চার বছর ঋণপত্রের বাজার থেকে দূরে থাকার
পর বৃহস্পতিবারই প্রথম বন্ড ছাড়ল গ্রিস। কিন্তু তার আগেই বিস্ফোরণ। আথেন্সে
সকালবেলা ব্যাঙ্ক অব গ্রিসের সামনে ফাটল গাড়ি বোমা। ক্ষতিগ্রস্ত হল শীর্ষ ব্যাঙ্কের
দেওয়াল ও আশপাশের এলাকা। এই ঘটনা অর্থনীতি নিয়ে জেরবার গ্রিসের কাছে
ধাক্কার। তবে ঋণপত্রে চড়া রিটার্নের প্রতিশ্রুতি আর দেউলিয়া দশা থেকে গ্রিসের
বেরিয়ে আসার প্রত্যাশা এ দিন বাজারে টেনে এনেছে লগ্নিকারীদের। ২,০০০ কোটি
ইউরোর বন্ড কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন ৫৫০ জনেরও বেশি লগ্নিকারী।
শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৩০০ কোটি ইউরোর বন্ড। ছবি: এএফপি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement