হাতেকলমে: ভুট্টা ক্ষেতে কাজে দেখতে ব্যস্ত মার্কিন চাষি। ছবি: রয়টার্স।
চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আর ভারতের চাপানো আমদানি শুল্কে নাকি মাথায় হাত মার্কিন মুলুকের চাষিদের। এই যুক্তিতে এ বার তাঁদের ১,২০০ কোটি ডলার (প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা) সহায়তা জোগানোর কথা জানাল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
এই সিদ্ধান্তে নতুন বিতর্ক, লড়াইয়ের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। তাঁদের প্রশ্ন, ভারত, চিনের মতো উন্নয়নশীল দেশ কৃষিতে বিপুল ভর্তুকি জোগায় বলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ করে আমেরিকা। দাবি করে তা ছাঁটাইয়ের। তা হলে ওয়াশিংটন যে সেই একই পথে হাঁটল, তার বেলা?
বুধবার ইইউ জানিয়েছে, বাণিজ্যে ট্রাম্পের বসানো শুল্কের পাল্টা হিসেবে ২,০০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে কর বসাতে তৈরি তারা। এ বার এমন যুদ্ধ ভর্তুকি নিয়েও শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।
তবে বাণিজ্য যুদ্ধে আমেরিকার কৃষকরা কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত, তা ব্যাখ্যা করতে ওয়াশিংটনের দাবি, একা চিনই ১৪ কোটি ডলারের সয়াবিনের বরাত বাতিল করেছে। শুল্ক বসানোয় বিভিন্ন দেশে সয়াবিনের পাশাপাশি বিক্রি কমেছে দুধ, শূকরের মাংস, ফল, বাদাম ইত্যাদির। বাজার হাতছাড়া হচ্ছে আরও অনেক কৃষিপণ্যের। হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতি, ‘‘উনি (ট্রাম্প) বোঝেন যে, চাষিরাই আমাদের খাদ্য ও পোশাক জোগান। তাই তাঁদের স্বার্থরক্ষায় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেবেন উনি।’’ শুল্ক যুদ্ধে মার্কিন চাষিদের বোড়ে করার জন্য চিনকে এক হাত নিয়েছেন ট্রাম্পও।
এ বার ভর্তুকি যুদ্ধের দামামা? উত্তরের খোঁজে উদগ্রীব বিশ্ব।