জিএসটি পরিষদকে এড়িয়ে এক তরফা ভাবে কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী রীতি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বৃহস্পতিবার নবান্নে তাঁর অভিযোগ, বৈঠকের আগেই জিএসটি কমানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য পরিষদের অধিকারকে খর্ব করেছে। পাশাপাশি সংসদের অধিবেশন চলাকালীন কী ভাবে প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা করতে পারেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অমিতবাবু।
সংবিধান সংশোধন করে নতুন পরোক্ষ কর ব্যবস্থা চালু হয়েছে দেশে। আইন অনুযায়ী জিএসটির হার নির্ধারণের দায়িত্ব এখন জিএসটি পরিষদের। যার মাথায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা এই কমিটির সদস্য। এখনও পর্যন্ত যা কর বেড়েছে-কমেছে, তার সবটাই হয়েছে পরিষদে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে। এ দফায় পরিষদে প্রস্তাব পেশের আগেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছেন, বিমান, সিগারেট, অ্যালকোহল, এসইউভি ছাড়া ২৮ শতাংশের গণ্ডিতে থাকা বাকি সব পণ্যের জিএসটি কমানো হবে। নিয়ে আসা হবে ১৮ শতাংশে। একে রীতি বিরুদ্ধে বলেই মনে করছে নবান্ন।
অমিতবাবুর কথায়, ‘‘সংবিধানের ২৭৯/এ ধারায় গঠিত জিএসটি কাউন্সিলের অধিকার খর্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অ্যালকোহল জিএসটির বাইরে ছিল। এত বড় ঘোষণা জিএসটি কাউন্সিলের অস্তিত্বকে ধাক্কা দিয়েছে।’’ একই অভিযোগ পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত সিংহ বাদলেরও।