গোড়া থেকে যা আশঙ্কা ছিল, এখন সেটাই ফুটে উঠছে ব্যবসার হিসেবের খাতায়। দেখা যাচ্ছে, নোট বাতিলের জেরে গত তিন মাসে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিভিন্ন সংস্থার বিক্রি। আঘাত এতটাই জোরদার যে, সরাসরি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বজাজ অটোর এমডি রাজীব বজাজ। বলেছেন, নোট নাকচের ভাবনাটাই ভুল। ফলে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করায় গলদ ছিল কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। এমনকী আর কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন না কেন, সে বিষয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।
শুক্রবারই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি দাবি করেন, ‘‘নোট বাতিলের হপ্তা কয়েকের মধ্যে অবস্থা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। আর এখন নোটের জোগানে ঘাটতিই নেই।’’ এ দিনই এক সাক্ষাৎকারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেল বলেন, ‘‘নোট নাকচের জেরে বৃদ্ধির হার ধাক্কা খেয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেই আঘাত সাময়িক। ভিত শক্ত থাকায় দ্রুত ছন্দে ফিরবে অর্থনীতি।’’
কিন্তু তথ্য বলছে, ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে রাজীবের বজাজ অটোর মোটরসাইকেল বিক্রি কমেছে। নেমেছে জানুয়ারিতেও (১৪.৯৪%)। নোট-কাণ্ড যে বিক্রিতে প্রভাব ফেলেছে, তা বলেছেন পেপসির কর্ণধার ইন্দ্রা নুয়ি। নগদের জোগান এখনও পর্যাপ্ত নয়, দাবি নোমুরা-র। যদিও সিআইআইয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সুমিত মজুমদারের মতে, ‘‘নগদের টান কাটছে। সাময়িক সমস্যা হলেও দীর্ঘমেয়াদে এতে লাভই হবে।’’ অকারণে নোট বাতিলের নিন্দে হচ্ছে বলে মনে করেন এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কর্ণধার আদিত্য পুরী-ও।