প্রতীকী চিত্র।
দেশে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর গতি নিয়ে যে দিন প্রশ্ন তুলল আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ, সে দিনই প্রথমবার ৫৩ হাজারের মাইলফলক পেরিয়ে থামল সেনসেক্স। বর্তমান আর্থিক সমস্যাগুলির তোয়াক্কা না-করেই ১৯৩.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে বুধবার সূচক থিতু হল ৫৩,০৫৪.৭৬ অঙ্কে।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় জুনে কমেছে জিএসটি আদায়। চড়েছে মূল্যবৃদ্ধির হার। এ দিনই ফিচ কমিয়েছে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস। তেলের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে আমজনতার খরচ তো বাড়াচ্ছেই। আশঙ্কা, এতে বাজারে চাহিদাও কমবে। সেই সঙ্গে রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানি। সব মিলিয়ে অর্থনীতির উদ্বেগ যে বাড়ছে, সে ব্যাপারে একমত প্রায় সব বিশেষজ্ঞই। অথচ রকেট গতিতে উঠছে শেয়ার বাজার। ফলে ফের উঠছে একই প্রশ্ন, বাস্তবের মাটিতে পা না-রেখেই সূচকের এমন উত্থান কতটা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে লগ্নিকারীদের?
দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে বলছেন, ‘‘অনেক কিছুই নির্ভর করছে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক ফলের উপর। দেশের আর্থিক অবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়েও এখন মন্তব্য করা কঠিন। কারণ, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কামড় আশঙ্কার থেকে অনেক বেশি হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ কতটা ক্ষতি করবে বোঝা যাচ্ছে না।’’ আর্থিক বিশেষজ্ঞ এবং ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্তের দাবি, ‘‘অর্থনীতির সঙ্গে সূচকের উত্থানের সঙ্গতি নেই। তাই বাজার অনিশ্চিত এবং সাধারণ লগ্নিকারীদের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ।’’
তবে বাজার নিয়ে আশাবাদী ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়াল। তাঁর মতে, ‘‘সূচকের উত্থান বহু নতুন লগ্নিকারীকে শেয়ারে লগ্নিতে উৎসাহী করেছে। আগাম কর আদায়ও বেড়েছে। আশা, প্রথম ত্রৈমাসিকে আর্থিক ফল খুব খারাপ হবে না। বর্ষা ভাল হওয়ার ইঙ্গিতও আছে। তার উপরে রেকর্ড অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা জমেছে সরকারের ভান্ডারে। তাই সূচকের বড় পতনের আশঙ্কা কম।’’