—ফাইল চিত্র।
জিএসটি ক্ষতিপূরণ এখনও না-পাওয়ার বিষয়টি সংসদে তুলল বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি। বুধবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাদের প্রতিনিধিরা। তৃণমূল, তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি, ডিএমকে, এমনকি বিজেপির এক সময়ের শরিক শিবসেনাও এ নিয়ে আপত্তি তোলে। সকলেরই দাবি, ওই ক্ষতিপূরণ দ্রুত মেটাক কেন্দ্র। এ দিন রাজ্যসভার অধিবেশনও জিএসটি নিয়ে বিক্ষোভের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা মুলতুবি রাখতে হয়।
রাজ্যগুলি ক্ষতিপূরণের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে গেলে তারাই জিতবে বলে আগে দাবি করেছিলেন কেরলের অর্থমন্ত্রী আইজ্যাক টমাস। এ দিন টুইটে তাঁর দাবি, হিসেব বলছে অক্টোবরের শেষে ক্ষতিপূরণ তহবিলে ৩৮,০০০ কোটি টাকা ছিল। কিন্তু রাজ্যগুলিকে তা-ও দু’মাসের ২০,০০০-২২,০০০ কোটি টাকা মেটায়নি কেন্দ্র। কেন্দ্র কেন রাজ্যগুলির সঙ্গে ‘পায়ে পা দিয়ে’ বিরোধের রাস্তায় হাঁটছে, প্রশ্ন তাঁর।
সেই সঙ্গে অন্য টুইটে টমাস বলেন, জিএসটি পরিষদের আগের বৈঠকেই অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যানের প্রস্তাব ছিল যে, কর আদায় কমার প্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ ঠিক করার বিষয়টি ভেবে দেখুক রাজ্যগুলি। বিজেপি শাসিত-সহ সমস্ত রাজ্যই তা নাকচ করে। কিন্তু এ বার এতে মতবিরোধের কথা তুলে ফের প্রস্তাব ফিরিয়ে আনতে চায় কেন্দ্র। উল্লেখ্য, জিএসটি চালুর সময়ে ঠিক হয়, বছরে কর আদায় ১৪% হারে না-বাড়লে, রাজ্যগুলিকে পাঁচ বছর ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্র। সেই সময়ও বাড়ানোর দাবি তুলেছে কিছু রাজ্য।
‘‘অক্টোবরের শেষে ক্ষতিপূরণ তহবিলে ৩৮,০০০ কোটি টাকা ছিল। রাজ্যগুলিকে দু’মাসের টাকা দিতে লাগত ২০,০০০-২২,০০০ কোটি। কিন্তু কেন্দ্র তা দেয়নি। কেন্দ্র কেন রাজ্যগুলির সঙ্গে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে?’’
আইজ্যাক টমাস, কেরলের অর্থমন্ত্রী
বুধবার জিএসটি বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠান শিবসেনা প্রধান ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর দাবি, জিএসটি খাতে রাজ্যের প্রায় ১৫,৫৫৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। সেই টাকা না-পাওয়ায় রাজ্যকে ভুগতে হচ্ছে। একই দাবি তেলঙ্গনা, তামিলনাড়ু-সহ অনেক রাজ্যের।