ক্ষুদ্র চা চাষিকে ছোট কারখানা খোলায় সায়

ক্ষুদ্র চা চাষিরাও এ বার ছোট চায়ের কারখানা খুলতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র নিজেদের বাগানের পাতা থেকে চা তৈরির জন্যই। অন্য কোনও বাগানের পাতা ব্যবহার করা যাবে না। এক নির্দেশিকা জারি করে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৩
Share:

ক্ষুদ্র চা চাষিরাও এ বার ছোট চায়ের কারখানা খুলতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র নিজেদের বাগানের পাতা থেকে চা তৈরির জন্যই। অন্য কোনও বাগানের পাতা ব্যবহার করা যাবে না। এক নির্দেশিকা জারি করে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক।

Advertisement

যাঁদের ২৫ একর পর্যন্ত চা বাগান রয়েছে, তাঁরা ক্ষুদ্র চাষি হিসেবে গণ্য হন। বাগানের পাতা বিক্রির জন্য এতদিন তাঁদের নির্ভর করতে হত বটলিফ কারখানা বা বড় বাগানগুলির উপর। কিন্তু অনেক সময় তাঁরা পাতার দাম ঠিকমতো পান না বলে অভিযোগ।

মন্ত্রক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, নিজের বাগানের পাতা দিয়ে চা তৈরির জন্যই কারখানা খুলতে পারবেন ক্ষুদ্র চাষিরা। তবে দিনে ৫০০ কিলোগ্রামের বেশি চা তৈরি করা যাবে না। এ জন্য ‘টি (মার্কেটিং) কন্ট্রোল অর্ডার’ সংশোধন করা হয়েছে। ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠন সিস্টা-র প্রেসিডেন্ট বিজয়গোপাল চক্রবর্তী শুক্রবার বলেন, ‘‘এতে কারখানা চালুর বিষয়টি আইনি স্বীকৃতি পেল। ওই চা সরাসরি নিলাম কেন্দ্রেও বেচা যাবে। সুবিধা হবে কারখানা চালুর জন্য ব্যাঙ্কঋণ পেতেও।’’

Advertisement

তবে এই কারখানা যাতে ক্ষুদ্র চা চাষিদের কাছ থেকে হাতবদল না হয় সে জন্য টি বোর্ডের তরফে কড়া নজরদারির দাবিও তুলেছেন বিজয়গোপালবাবু। তাঁর আশঙ্কা, হাতবদল হয়ে চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত নন বা ক্ষুদ্র চাষি নন, এমন কারও হাতে কারখানা চলে গেলে উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।

উল্লেখ্য, সারা দেশে ইতিমধ্যেই ১৩০টিরও বেশি এ রকম ছোট কারখানা গড়ে উঠলেও সেগুলির স্বীকৃতি ছিল না। কেন্দ্র জানিয়েছে, বৈধতা পেতে এই নির্দেশের ৯০ দিনের মধ্যে সেগুলিকে সার্টিফিকেট নিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement