মনে সিঁদ কেটেই লক্ষ্মীলাভ

সেই তথ্যভাণ্ডার এত দামি বলেই ডেটাকে নতুন তেলের আখ্যা দিয়েছেন রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশ অম্বানী। হোয়াটসঅ্যাপের জন্য বিপুল অর্থ উপুড় করতে কসুর করে না ফেসবুক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৮ ১২:০২
Share:

যে মন বোঝা দায়, তথ্যের (ডেটা) সিঁধকাঠিকে হাতিয়ার করে এখন একেবারে তার ভিতরে সেঁধিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। সকালে বিছানা ছাড়া থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া ইস্তক এক জন কী করেন, কী তাঁর পছন্দ, কেনাকাটায় সামর্থ্য— তার প্রায় সবই পড়ে ফেলছেন তথ্য বিশ্লেষকরা। আর ঠিক সেই পরিসরে পা রেখেই রাজ্যে ফিরছেন বাঙালি উদ্যোগপতি অনিন্দ্য দত্ত।

Advertisement

মোবাইলে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে হুড়মুড়িয়ে। তার হাত ধরে বাড়ছে সেখানে দুনিয়ার অ্যাপ ঘাঁটার অভ্যাস। বস্তুত, গ্রাহকের স্মার্টফোনের ব্যবহার যেন সমুদ্র পাড়ে বালির মতো। যেখানে তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ চিহ্ন রেখে যায়। প্রতিটি কথোপকথন, অ্যাপের ব্যবহার হদিস দেয় তাঁর পছন্দের। তল পাওয়া যায় তাঁর মনের। কলকাতার স্কুল থেকে আইআইটি-খড়্গপুর হয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেওয়া কম্পিউটার বিজ্ঞানী অনিন্দ্যর এই ব্যবসায় বাজি ‘ডেটার বালি’তে সেই পায়ের চিহ্ন খুঁজে গ্রাহকের মনের আভাস পাওয়া। যার বিশ্লেষণ করে বিক্রেতা পৌঁছতে পারেন গ্রাহকের দরজায়। খুঁজে নিতে পারেন কে তাঁর পণ্য বা পরিষেবার সম্ভাব্য ক্রেতা।

সেই তথ্যভাণ্ডার এত দামি বলেই ডেটাকে নতুন তেলের আখ্যা দিয়েছেন রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশ অম্বানী। হোয়াটসঅ্যাপের জন্য বিপুল অর্থ উপুড় করতে কসুর করে না ফেসবুক।

Advertisement

অনিন্দ্যর কথায়, মোবাইলে বিজ্ঞাপন পাঠানোর জন্য একটি ‘আইডি’ থাকে। তার মাধ্যমে গ্রাহকের তথ্য পাওয়ার ৫২টি মাপকাঠি রয়েছে। যা বিশ্লেষণ করলে তাঁর পছন্দের হদিস মেলে। কেউ হয়তো স্কুল পড়ুয়ার মায়ের জন্য কোন পণ্য বিক্রি করতে আগ্রহী। স্রেফ মোবাইল ব্যবহারের ভিত্তিতেই তাঁদের বড় অংশের কাছে পৌঁছনো সম্ভব, দাবি অনিন্দ্যবাবুর।

বছর পাঁচেক আগে মার্কিন মুলুক থেকে এই তথ্য কাঁটাছেঁড়ার ব্যবসা শুরু করে ৩১টি দেশে ছড়িয়েছে অনিন্দ্যর সংস্থা মোবাইলওয়ালা। ভারতে প্রথম পা কলকাতাকেই। নাড়ি আর দক্ষ মেধাসম্পদের টানে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement