—ফাইল চিত্র
তথ্যপ্রযুক্তির আউটসোর্সিংয়ে (কম খরচে কাজ করানো) বিশ্ব বাজারে বড় দখল থাকলেও সফটওয়্যার পণ্যের ব্যবসায় ভারতের অংশীদারি সামান্য। সে কারণে ২০২৫ সালের মধ্যে সফটওয়্যার পণ্য তৈরির ব্যবসা সাত-আট গুণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধেছে কেন্দ্র। শুক্রবার এবিপি সংস্থা আয়োজিত এই শিল্পের সম্মেলন ইনফোকমে এ কথা জানান সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কস অব ইন্ডিয়ার (এসটিপিআই) ডিরেক্টর জেনারেল ওমকার রাই। তিনি জানান, স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির জন্য দেশ জুড়ে ২৫টি উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ছে এসটিপিআই। সেই মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গকে জায়গা দিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গেও কথা চলছে।
অতিমারির আবহ পেরিয়ে গোটা বিশ্ব এখন নতুন ভবিষ্যতের সন্ধানে। সেই ‘নতুন স্বাভাবিক’ কেমন হতে পারে, তার আভাস পাওয়াই এ বারের ইনফোকমের মূল লক্ষ্য। সেই পরিস্থিতিতে সফটওয়্যার পণ্য তৈরির গুরুত্বপূর্ণ তালুক হিসেবে ভারতকে গড়ে তোলার ভাবনাই ছিল ওমকারের আলোচনার বিষয়। সম্মেলন মঞ্চে ও পরে তিনি জানান, আউটসোর্সিংয়ে ভারতীয় সংস্থাগুলির ব্যবসার অঙ্ক প্রায় ১৪,৭৯৯ কোটি ডলার। বিশ্ব বাজারের ৫৬% তাদের দখলে। কিন্তু এ দেশের সফটওয়্যার পণ্য রফতানির ব্যবসা মাত্র ১০০০ কোটি ডলারের। বিশ্বের মোট বাজারের বহর যেখানে ৫২,০০০ কোটি। ফলে পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের অংশীদারি আট গুণ করার চেষ্টা চলছে।
ওমকার জানান, কৃত্রিম মেধা, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেন, স্বয়ংক্রিয় ও সংযুক্ত গাড়ি প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞদের উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়তে ৪০০ কোটি টাকা খরচ করছে এসটিপিআই। তাঁর আশা, সল্টলেকে তাঁদের দু’লক্ষ বর্গ ফুটের আইটি পার্কটি এক বছরের মধ্যে চালু হবে।
বদলে যাওয়া সময়ে সার্বিক প্রযুক্তির ব্যবহারেও জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। সেই সূত্রে ক্রেতার চাহিদা বদলের কথা বলেছেন বেলজিয়াম থেকে সম্মেলনে যোগ দেওয়া ক্রেতা-বিশেষজ্ঞ স্টিভন ফান বেলেহ্যাম। তাঁর মতে, আগে মূলত নেট-বাজার ও দোকানের আলাদা পরিকাঠামো ছিল। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে প্রতিটি সাধারণ (অফলাইন) ব্যবসারও একটি করে অনলাইন অবতার থাকবে।