নিজস্ব সংবাদদাতা

‘প্রায়শ্চিত্ত’, ছোট শিল্পে ধার দিতে জোর ব্যাঙ্ককে

অর্থনীতিবিদরা অবশ্য এই পদক্ষেপকে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ হিসেবেই দেখছেন। কারণ নোট বাতিলের ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছোট-মাঝারি সংস্থা।

Advertisement

নয়াদিল্লি

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে এ বার ছোট-মাঝারি সংস্থার বন্ধু হিসেবে মাঠে নামাতে মরিয়া কেন্দ্র। তাই তারা যাতে ছোট-মাঝারি শিল্পকে সহজে ঋণ দেয়, তা নিশ্চিত করতে ওই ক্ষেত্রটিকে পুঁজি জোগানো ব্যাঙ্কগুলির শেয়ার মূলধন পাওয়ার অন্যতম শর্ত হিসেবে বেঁধে দেওয়া হল এ দিন।

Advertisement

অর্থনীতিবিদরা অবশ্য এই পদক্ষেপকে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ হিসেবেই দেখছেন। কারণ নোট বাতিলের ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছোট-মাঝারি সংস্থা। নগদের অভাবে ভুগেছে ব্যবসা। কাজও গিয়েছে অনেকের। তার পরে আসে জিএসটি-র ধাক্কা। অনলাইন ভিত্তিক নতুন কর জমানার নানা শর্ত পূরণ করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয় তারা। অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজেই বারবার বলেন, বড় শিল্পের তুলনায় বহু গুণ বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে ছোট-মাঝারি সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের একাংশেরও দাবি, নোটবন্দি ও জিএসটি-র জেরে মূলত এই সব সংস্থাকে ভুগতে হয়েছে বলেই মার খেয়েছে বৃদ্ধি।

সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এ বার সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই অর্থ মন্ত্রকের নির্দেশ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের ‘উদ্যমী-মিত্র’ হয়ে উঠতে হবে। ব্যাঙ্ক সচিব রাজীব কুমারের যুক্তি, ‘‘এই শিল্প চাপে রয়েছে। এই অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি।’’

Advertisement

মন্ত্রক বলেছে, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে অনলাইনে ঋণের জন্য আবেদনের বন্দোবস্ত করতে হবে। তা মঞ্জুরি কোন স্তরে রয়েছে, তার উপরে যাতে নেট মারফতই নজর রাখা যায়, রাখতে হবে সেই ব্যবস্থাও। ব্যাঙ্ক সচিব বলেন, প্রত্যন্ত এলাকার ছোট-মাঝারি সংস্থার সমস্যা মেটাতেই এই নির্দেশ। ১৫ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জিএসটিতে নথিভুক্ত সংস্থাকে বাড়তি কার্যকরী মূলধন জোগাতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement