বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনা সন্ত্রাস। লাখ লাখ মানুষ দাঁড়িয়ে মৃত্যুর সামনে। এই মারণ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে মাস দুয়েক ধরে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। আর সেই লকডাউনের জেরেই আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সব কিছু বদলে গিয়েছে। আমাদের কাজ করার অভ্যেস থেকে শুরু করে খেলাধুলার অভ্যেস, খাওয়া-দাওয়া সমস্ত কিছু। স্কুল-কলেজ বন্ধ। স্পোর্টস লিগ বন্ধ। একটা বিশাল সংখ্যক মানুষ বাড়ি থেকে কাজ করছে। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে বদলে গিয়েছে দেশের চেহারা। প্রায় সমস্ত ব্যবসাই রয়েছে ব্যকফুটে। তালিকায় রয়েছে পেইন্টিংও।
এই অবস্থায়, এক প্রকার চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগিয়ে এসেছে ভারতের অন্যতম বৃহৎ রং প্রস্তুতকারক সংস্থা – এশিয়ান পেইন্টস। দেশের নির্বাচিত শহরগুলির জন্য চালু হয়েছে 'নিরাপদ পেইন্টিং'-এর পরিষেবা। নিরাপদ পদ্ধতিতে, স্যানিটাইজেশনের বিভিন্ন প্রোটোকল মেনে, রং বিশেষজ্ঞদের তৈরি এই পরিষেবা উপভোক্তা এবং পেইন্টার এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে দু'জনেই সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ থাকেন। সেই সঙ্গে এই পদ্ধতি ঘরকে সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করবে। ফলে উভয় পক্ষই উপকৃত হবেন।
সমাজে মানুষের কাছে, এই বার্তাই পৌঁছে দিতে, মূলত পেইন্টার এবং তাঁদের পরিবারের কথা মাথায় রেখেই দু’টি নতুন ভিডিও তৈরি করেছে এশিয়ান পেইন্টস। কারণ, করোনা এবং লকডাউনের কারণে, বিপুল ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সমাজের এই অংশটি।
ভিডিও দু’টিতে এরকমই এক পেইন্টারের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। লকডাউনের শেষ বেলায় এসে যিনি আবার তৈরি হচ্ছেন কাজ শুরু করার জন্য। আর তাঁকে সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য করছে এশিয়ান পেইন্টস। উপভোক্তা এবং পেইন্টার দু’জনেই যাতে নিরাপদে থাকেন সেই ব্যবস্থাই করেছে এই বহুজাতিক রং প্রস্তুতকারক সংস্থা। সাইট মূল্যায়ন থেকে শুরু করে ঘরের দেওয়ালে রঙের প্রথম কোট প্রয়োগ – সমস্ত ক্ষেত্রেই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
এই সময়ে দাঁড়িয়ে ঘর রং করতে এশিয়ান পেইন্টস অবলম্বন করছে ডাস্ট-ফ্রি মেকানাইজড পেইন্টিং পদ্ধতির। যা ঘরের দেওয়ালকে শুধু দুর্দান্ত লুকই দেয় না, সেই সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করতে খুব কম লোকের প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি 'সেফ পেইন্টিংয়ের' কর্মীদের কাছে সুরক্ষার জন্য যা কিছু দরকার, তার সমস্তটাই মজুত থাকে। তাঁরা বডি স্যুট পরে তৈরি হন এবং তাঁদের দেখভালের জন্য থাকেন একজন দক্ষ সুপারভাইজার। রঙের কাজ শেষ হয়ে গেলে গোটা ঘরটিকে জীবানুনাশক স্প্রে দিয়ে স্যানিটাইজ করা হয়। যার ফলে কোনওভাবেই সংক্রমণের সুযোগ থাকে না। বরং ঘরটি হয়ে ওঠে থাকার জন্য একদম নিরাপদ।
কোভিড ১৯ এবং লকডাউনের কারণে দেশব্যাপী যে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার মোকাবিলায় বিভিন্নভাবে এগিয়ে এসেছে এশিয়ান পেইন্টস। সমাজকে আবার আগের মতো প্রাণোচ্ছ্বল অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে যথা সাধ্য চেষ্টা করে চলেছে এই বহুজাতিক সংস্থা। জানা নেই কবে শেষ হবে এই আতঙ্ক। তত দিন, ঘরে থাকুন, সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন। এশিয়ান পেইন্টসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।