আমার বাড়ির কাছে আরশিনগর… সেথা এক পড়শি বসত করে’
এই বারের পুজোয় গন্তব্য হতেই পারে পড়শি দেশ। নিজের শিকড় চিনতেই হোক অথবা নিছক অন্য স্বাদের পুজো উদযাপনের লক্ষ্যে। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু ভ্রমণ সংস্থা এ বছর পুজোয় বাংলাদেশে ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা করছে।
এখানকার পর্যটন সংস্থাগুলির কথা অনুযায়ী, বাংলাদেশের পদ্মা সেতু এ বারের বাড়তি পাওনা। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম, ঢাকা, কক্সবাজার সার্কিটে যাওয়ার ব্যবস্থা তো রয়েছেই।
রাঙামাটি, চট্টগ্রাম, কর্ণফুলি নদীর বাঁধও রয়েছে এই সফর পরিকল্পনায়। পাশাপাশি, লোকনাথ বাবার জন্মস্থান বারদিতেও যেতে পারেন পর্যটকেরা।
সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হল ঢাকেশ্বরী মন্দিরের দুর্গা পুজো। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই মন্দিরের পুজো এক বার স্বচক্ষে দেখে এলে নাকি মনোবাসনা পূরণ হয়।
সফরের বাজেটও সাধ্যের মধ্যে। ট্রেন ও সড়কপথে বাংলাদেশে সাত দিন ঘোরার জন্য ভারতীয় মুদ্রায় মাথা পিছু প্রায় ৩৭,৫০০ টাকা করে খরচ হতে পারে। যদিও এই অঙ্ক একটু কম বেশি হবেই।
কলকাতার একাধিক ট্যুর অপারেটরদের মতে, ইদানিং এপার বাংলা থেকে পর্যটকদের বাংলাদেশে বেড়াতে যাওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন পরামর্শদাতা নির্মলেন্দু বসু জানান, এখনও এপার বাংলার অনেকেরই বাড়তি আকর্ষণ রয়েছে বাংলাদেশ ভ্রমণের প্রতি।
বাংলাদেশ সরকারও পর্যটকদের উৎসাহ দিতে নানা উদ্যোগের পথে হাঁটছে। যেমন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আরও পর্যটন বান্ধব করে তুলতে পদক্ষেপ করা হয়েছে কিছু দিন আগেই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে লালন ফকির, ওপার বাংলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের নাম। আর তাঁদের ঘিরে আবেগে ভাসে এপার বাংলাও।
বাংলাদেশের এই বিশেষ জায়গাগুলি আজও ভারতীয়দের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। ভাবুন তো, নবমীর বিকেলে আপনি বসে আছেন কপোতাক্ষ নদীর তীরে। এ কি কম পাওয়া?
এ বারের পুজোটা অন্য ভাবে কাটাতে চাইলে ঘুরে আসতেই পারেন আরশিনগরে।