থিম পুজোর ভিড়ের মাঝে হাওড়ার শিবপুর সার্বজনীন শারদোৎসব ক্ষেত্রমিলনীর আজও সাবেকি পুজোর ধারাকে সমান প্রাধান্য দিয়ে চলেছে। এই পুজোর সবচেয়ে বিরল দৃশ্য হল এখানে একই বেদিতে পূজিতা হন দেবী দুর্গা ও দেবী উগ্রচণ্ডী। ১৯৭৭ সালে পল্লিবাসীদের প্রচেষ্টায় শুরু ক্ষেত্রমিলনীর জয়যাত্রা, তারপর আজ ৪৬ বছর অতিক্রান্ত এই পুজো শিবপুরবাসীদের কাছে সাবেকি আরাধনার এক অন্যতম নাম। আগে অস্থায়ী মন্ডপে পূজিতা হতেন দেবী দুর্গা। কিন্তু ২০০১ সালে তৈরি হয় ‘মা’র স্থায়ী বেদি ও মন্দির এবং ২০০৩ সাল থেকে মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হন মা চণ্ডী। এখানে সারা বছর মা চন্ডীর নিত্য পূজা হয় এরং শারদীয়ার সময় মা দুর্গা ও মা চণ্ডী এক সঙ্গে পূজিতা হন।
সার্বজনীন হলেও এই পুজোর উপাচারে রয়েছে বাড়ির পুজোর ছোঁয়া। প্রতি নবমীতে এক কিংবা একাধিক কন্যাকে দেবীর সন্মুখে কুমারী হিসেবে অর্চনা করা হয়। নবমীর আরও এক বৈশিষ্ট্য হল এই দিনের 'ধুনো পোড়া অনুষ্ঠান' । এক কালের শুধু মাত্র এক সর্বজনীন দুর্গোৎসব, আজ নিত্য দিনের শক্তি আরাধনার এক অনন্য স্থানে বিরাজ করে।
প্রতিমা শিল্পী : শ্রী গোরাচাঁদ ঘড়ুই
কিভাবে যাবেন : দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরিয়ে মন্দিরতলা স্টপেজে নামতে হবে। সেখান থেকে হাঁটা দূরত্বে দুই মিনিট।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।