সে চিজ!
উঁহু, সায় দিয়ে ভুল করবেন না! বরং, দু’ দিকে মাথা নেড়ে জোর দিয়ে বলুন, আজ থেকে আর চিজ নয়! কেন না এক টুকরো চিজ মুখে পোরা আর ড্রাগ নেওয়া— একই ব্যাপার! চিজ শরীরের ভিতরে গিয়ে আফিমের মতন আসক্তি জাগানো এক রকমের উপাদানের জন্ম দেয়, জানেন কি?
অনেকেই জানতেন না। কিন্তু আমার-আপনার মতো সম্প্রতি জেনেছেন। জানিয়েছেন ইউ এস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের এক গবেষক দল।
এমনিতে অবশ্য চিজ নিয়ে লাগাতার গবেষণা চলেই! কী ভাবে তার স্বাদ উন্নত করা যায়, কোথাকার চিজ কোনটার চেয়ে কতটা আলাদা, কোনটা ওষুধের কাজ করে আর কোনটা নয় ইত্যাদি প্রভৃতি! কিন্তু, তার সঙ্গে এই হালফিলের গবেষণার কিঞ্চিৎ প্রভেদ আছে। কেন না, ওই গবেষকরা ঠিক এই বিষয়গুলি নিয়ে নাড়াঘাঁটা করতে যাননি।
ইউ এস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের গবেষণার বিষয় ছিল কোন কোন খাবার ক্রমাগত খেয়ে যাওয়ার আসক্তি জাগায়! তার জন্য পাক্কা ৫০০ জন মানুষের খাদ্যাভ্যাস খুঁটিয়ে দেখেছেন গবেষকরা। এবং তাতেই দেখেছেন, চিজ খাওয়া কী ভাবে ড্রাগ নেওয়ার মতো অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যেতে পারে! দু’টো ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা এক রকম— এক বার স্বাদ পেয়ে গেলে তার পর আর ছেড়ে থাকা যায় না!
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই আসক্তির জন্য দায়ী চেজিন নামের এক রকম উপাদান। এটা চিজের ভিতরে থাকে। এই চেজিনই শরীরের ভিতরে গিয়ে আফিমের মতো আসক্তি জাগানো আর এক উপাদানের জন্ম দেয়। সেটার নাম চেজোমরফিনস! ফলে, এক বার স্বাদটা ভাল লেগে গেলে ক্রমাগত খেয়ে যেতে ইচ্ছে করে!
আর, তার ফলটা বেশির ভাগ সময়ই ভাল হয় না। সমানে চিজ খাওয়া থেকে ওজন বেড়ে গিয়ে নানা রকম শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়!
তা হলে, পিৎজা? সেটার ব্যাপারে কী করা যায়? যা সিদ্ধান্ত নেবেন, ভেবে-চিন্তে নিন! গবেষকরা কিন্তু দেখেছেন, বিশ্ব জুড়ে সব চেয়ে আসক্তি জাগানো খাবারের মধ্যে পিৎজাই দখল করে রেখেছে পয়লা সারিটা!
তবে, এ কথা জানানোর ঠিক পরেই আরও একটা রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ইউ এস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন! বলেছে, যে খাবারে ফ্যাট যত বেশি থাকে, সেই খাবারই ক্রমাগত খাওয়ার নেশা জাগিয়ে তোলে!
এ বার বরং একটু ভেবে-চিন্তে আদর্শ খাদ্যাভ্যাসটা ঝালিয়ে ফেলুন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy