বাঁ দিক থেকে, হেমন্ত, সীতা এবং শিবু সোরেন। — ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার সকালে দলের সমস্ত পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। বেলা গড়াতেই দল বদলালেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-র প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের পুত্রবধূ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বৌদি সীতা সোরেন।
দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ের উপস্থিতিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন, জেএমএম বিধায়ক সীতা। সেখানে হাজির ছিলেন ঝাড়কণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী। সূত্রের খবর, দুমকা লোকসভা কেন্দ্রের সীতাকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি।
দুমকা জেলার জামা কেন্দ্রের তিন বারের বিধায়ক সীতা জেএমএম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রয়াত দুর্গা সোরেনের স্ত্রী। হেমন্ত সক্রিয় রাজনীতিতে আসার আগে দুর্গাই ছিলেন শিবুর রাজনৈতিক সহকারী। বিধানসভাতেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে দুর্গার মৃত্যুর পরে সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছিলেন সীতা। রাজনীতিতে আসা ইস্তক বহুবার হেমন্তের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। জেএমএম সূত্রের খবর, মন্ত্রী না করায় দীর্ঘ দিন ধরেই ক্ষুব্ধ ছিলেন সীতা।
জানুয়ারিতে দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করতে সক্রিয় হলে স্ত্রী কল্পনাকে রাঁচীর কুর্সিতে বসানোর পরিকল্পনা করেছিলেন হেমন্ত। কিন্তু সীতার নেতৃত্বে চার জন জেএমএম বিধায়ক ‘বিদ্রোহ’ করায় পিছু হটতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী চম্পেই সোরেনের মন্ত্রিসভাতেও ঠাঁই পাননি সীতা। তাঁর এই দলত্যাগের ফলে নতুন করে ঝাড়খণ্ডে বিরোধী জোটের সরকারের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। চামরা লিন্ডা-সহ কয়েক জন জেএমএম এবং কংগ্রেস বিধায়ক সীতাকে ‘অনুসরণ’ করতে পারেন বলেও জল্পনা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy