তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসুর রাজনৈতিক মূলধন আসলে তাঁর সঙ্গে অতীত সম্পর্ক! এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন করলেন কবীরশঙ্করের প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পক্ষান্তরে, দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে প্রাক্তন শ্বশুর কল্যাণকে বিঁধেছেন কল্যাণ।
শনিবার রাতে ডানকুনির চাকুন্দিতে নির্বাচনী সভায় কল্যাণ শ্রীরামপুরের সঙ্গে কবীরশঙ্করের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দাবি করেন, শ্রীরামপুরের কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন বা উন্নয়নে কবীরশঙ্কর যুক্ত নন। তাঁর কথায়, ‘‘কেন বার বার ঘুরে ঘুরে শ্রীরামপুরে আসে? সেই তো কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে প্রথম শ্রীরামপুরে এসেছিল। শ্রীরামপুর চিনেছিল। আজ তার পরিচয় কী? কেউ বলতে পারবেন?’’ আইনজীবী হিসাবে কবীরশঙ্করের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কল্যাণের সংযোজন, ‘‘তিনি রাজনীতিতে পরিচিত হচ্ছেন, আসছেন টিকিট পাচ্ছেন কিসের জন্য, না তাঁর প্রাক্তন শ্বশুর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
রবিবার সন্ধ্যায় শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে সভাতেও একই কথা বলেন কল্যাণ। কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, ‘‘বাবার কাছে মেয়ে সবচেয়ে বড় আদরের। সেই মেয়ে যখন কষ্ট পায়, বাবার হৃদয়টা ভেঙ্গে যায়। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় বাবা। সেই কষ্টের উত্তর আগামী ২০ মে আপনারা দেবেন ভোট বাক্সে।’’
কল্যাণের মন্তব্য নিয়ে কবীরশঙ্করের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওঁর চরিত্র, স্বভাব সকলেরই জানা। হারছেন বুঝেই উনি নিজের বাড়ির লোককে রাজনৈতিক মঞ্চে ভোট প্রচারে টেনে আনতে ছাড়ছেন না। নিজের দলের কর্মীদেরও তিনি আক্রমণ করতে ছাড়েন না। এর চেয়ে নোংরা চরিত্র আর কী হতে পারে!’’ গত বিধানসভা ভোটে শ্রীরামপুরে বিজেপি টিকিটে দাঁড়িয়ে হেরে যান কবীরশঙ্কর।
চাকুন্দির সভায় কল্যাণ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গত বার তাঁর পোলিং এজেন্টের গায়ে হাত পড়েছিল। এ বার তেমন হলে তিনি হিসাব বুঝে নেবেন। যে এমন করবে, তাকে ‘জ্যান্ত’ রাখবেন না।
এই প্রসঙ্গে কবীরশঙ্কর বলেন, ‘‘তৃণমূল একটা সন্ত্রাসবাদী দল। তারা এ বার পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হারছে। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব যে ভাবে তৃণমূল প্রার্থী সরাসরি হুমকি দিচ্ছেন খোলাখুলি ভাবে, তাঁর মনোনোয়ন বাতিল করা হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy