দেবের প্রচারে ঘাটালে কাঞ্চন মল্লিক। —নিজস্ব চিত্র।
শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে গিয়ে যথেষ্ট অপ্রস্তুত হতে হয়েছিল অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে। মহিলারা ‘রিয়্যাক্ট’ করছেন বলে কাঞ্চনকে প্রচারগাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেন বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ। মাঝে পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। এ বার ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের সমর্থনে প্রচার করলেন কাঞ্চন। দুই অভিনেতা-রাজনীতিকের গলায় মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন কর্মী এবং সমর্থকেরা। কাঞ্চনকে পাশে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন দেব। অন্য দিকে, কল্যাণকাণ্ডের প্রসঙ্গ উঠতেই কাঞ্চন বাংলা ছবির উদাহরণ টেনে বললেন, ‘‘হাত বাড়ালেই বন্ধু। আমি তৃণমূল কর্মী। যে প্রার্থী ডাকবেন, আমি যাব।’’
অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চনকে সঙ্গে নিয়ে কেশপুরের মোহনপুর এলাকায় ভোটপ্রচারে যান দেব। তিনি জানান, কাঞ্চন তাঁর দীর্ঘ দিনের বন্ধু। কাঞ্চনের যাঁরা ফ্যান, তাঁদের ভাল লাগবে বলে প্রচারে ‘বন্ধু’কে নিয়ে এসেছেন। দেবের হয়ে প্রচারে আসতে পেরে তিনি ‘উচ্ছ্বসিত’ বলে জানান কাঞ্চনও। মন্দিরে পুজো দিয়ে একসঙ্গে এলাকায় প্রচার সারেন তাঁরা। মাইক হাতে প্রচারে দেব বলেন, ‘‘আপনাদের আশীর্বাদ, ভালবাসা নেওয়ার জন্য এসেছি।’’ মাইক হাতে জনগণের উদ্দেশে কাঞ্চন বলেন, ‘‘দীপক অধিকারী, দেব এই কেন্দ্র (ঘাটাল) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমি চাইব, তাঁর কাজের নিরিখে তাঁকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।’’ কাঞ্চন আরও বলেন, ‘‘আমি ওকে (দেব) ‘ছোট ভাই’ বলে ডাকি। অনেকগুলো সিনেমাতে বলেছি। তোমার পাশে মানুষ আছেন, তোমাকে ভালবাসা দিয়ে ভোট দিয়ে আবার নির্বাচিত করবেন মানুষ।’’ আর প্রচারের ফাঁকে দেব বলেন, ‘‘আমার মনে হয় কাঞ্চনদা আসায় দলের কর্মীদের মনোবল বাড়বে। কাঞ্চনদার সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের পরিচয়। এই প্রজন্মে কাঞ্চনদার ভক্ত এবং ভালবাসার মানুষ অনেক।’’
কল্যাণের প্রসঙ্গ উঠতেই কাঞ্চনের জবাব, ‘‘‘হাত বাড়ালেই বন্ধু’ বলে একটা বাংলা ছবি ছিল। এ বার কে কী করছেন, সেটা তো জানি না।’’ ‘আমার বন্ধু’ বলে দেবকে জড়িয়ে ধরে কাঞ্চনের সংযোজন, ‘‘ও আমাকে কাছে টেনে নিয়েছে, এটাই যথেষ্ট। সাধারণ মানুষ রয়েছেন। তাঁদের ভালবাসা রয়েছে। এটাই তো থাকে, আর কিছু থাকে না।’’
অন্য দিকে, তৃণমূল প্রার্থী দেব তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের তাঁর উদ্দেশে কড়া কড়া মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমার মনে হয় ও পাগল হয়ে গিয়েছে! রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধেও ও দেবকে দেখবে। এত গরম বাড়ছে কেন, তাতেও দেব দেখবে। হিরণের এমন একটা অবস্থা হয়ে গিয়েছে যে দিনে-রাতে উঠতে-বসতে দেবকে দেখছে! কোনও কিছু খারাপ মনে হলেই দেব? রাতে ঘুম না এলে বলবে দেব। তবে হিরণকে শুভেচ্ছা, গরম বেড়েছে। নিজের শরীরের দিকে লক্ষ রাখতে বলব। প্রচুর জল খেতে বলব। ওআরএস খেতে বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy