বাঁ দিক থেকে, পিনারাই বিজয়ন, কেসি বেণুগোপাল এবং রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
বাম নেতাদের ‘অনুরোধ’ উপেক্ষা করে রাহুল গান্ধী ওয়েনাড়ে প্রার্থী হওয়ার পরেই কেরলে ‘ইন্ডিয়া’র দুই শরিকের তরজার পারদ চড়তে শুরু করেছিল। শুক্রবার ভোটপর্ব মেটার পরেই তা তুঙ্গে উঠল। রাহুলের ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা তথা এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল সরাসরি সে রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুললেন।
কংগ্রেস নেতা বেণুগোপাল এ বার লোকসভা ভোটে কেরলের আলাপ্পুঝা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন। শুক্রবার আলাপ্পুঝা-সহ সে রাজ্যের ২০টি লোকসভা কেন্দ্রের সব ক’টিতেই ভোটগ্রহণ ছিল। বেণুগোপাল শনিবার বলেন, ‘‘কেরলে ভোটপর্ব এ বার ছিনতাই (হাইজ্যাক) করেছে সিপিএম।’’ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সরকার প্রশাসনিক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশন এবং কেরলের শাসক বামেরা মিলে নির্বাচনের দিন সাধারণ ভোটদাতাদের হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ করে বেণুগোপাল বলেন, ‘‘২০১৯-এর লোকসভার তুলনায় এ বার ভোটের হার কম হওয়ার এটি অন্যতম কারণ।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেরলে প্রায় ৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বার সেই হার প্রায় ৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। রাহুল-ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতার দাবি, এ বার বহু নির্বাচনকেন্দ্রে বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে ত্রুটির কারণে ভোটারেরা বুথে গিয়েও বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘’৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে এমন বুথগুলিতে ইভিএমে গোলমাল ধরা পড়েছে যেখানে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইউডিএফ শক্তিশালী।’’
কেরলে এ বার সিপিএমের ভোটপ্রচারে ধারাবাহিক ভাবে কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারকে নিশানা করেছেন বিজয়ন। কখনও রাহুলকে খোঁচা দিয়ে ‘আমূল বেবি’ বলেছেন। কখনও হরিয়ানায় প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা এবং তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী ডিএলএফের বিরুদ্ধে হরিয়ানায় জমি দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি বিজয়ন দাবি করেন, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ডিএলএফ বিপুল অঙ্কের অর্থ বিজেপির তহবিলে দেওয়ার পরেই ক্লিনচিট দেওয়া হয় রবার্টদের। জবাবে রাহুল-প্রিয়ঙ্কাও কেরলে ভোটের প্রচারে গিয়ে বিজয়ন-সহ সিপিএমের মালয়ালি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy