মহম্মদবাজারে বিজেপির পদযাত্রায় সুকান্ত মজুমদার। ছবি: পাপাই বাগদি।
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে এসে এক যোগে অনুব্রত মণ্ডল এবং তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’কে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। খোঁচা দিলেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়কেও।
মঙ্গলবার সিউড়ি ও রামপুরহাটে বীরভূম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের প্রচারে এসে রোড-শো করেন সুকান্ত। দুটি রোড-শোতেই সুকান্তকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন। শতাব্দী রায়কে পরোক্ষে কটাক্ষ করে সুকান্তর মন্তব্য, ‘‘এখন সমস্ত কিছুর তদন্ত শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো চলছে। ভোট গণনার পরে এই তদন্ত বন্দে ভারতের মতো দ্রুত গতিতে চলবে।’’
জনতার উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘বিজেপিকে ভোট দিন এবং শতাব্দী রায়কে শতাব্দী এক্সপ্রেস ধরিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিন।” এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘যে-ভাবে চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পিসি-ভাইপো দু’জনেই খুব শীঘ্রই জেলের ভিতরে ঢুকবেন। কেউ বাদ যাবেন না!” এ দিন দুপুরে সিউড়ির একটি হোটেলে এসে পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখান থেকেই বিকেলে প্রথমে মহম্মদবাজারের কাঁইজুলি স্কুলের সামনে থেকে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত পদযাত্রায় শামিল হন তিনি। মহম্মদবাজার বাসস্ট্যান্ড হয়ে থানা সংলগ্ন মাঠে এসে পদযাত্রা শেষ হয়। সেখানে ছোট পথসভা করেন সুকান্ত।
পরে সন্ধ্যায় সিউড়ি ১ ব্লকের কড়িধ্যায় রোড-শো করেন সুকান্ত। কড়িধ্যার তেঁতুলতলা মোড় থেকে একটি সুসজ্জিত গাড়িতে চড়ে কড়িধ্যা বিদ্যানিকেতন স্কুল পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে রোড-শো হয়। সিউড়ি ১ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত কড়িধ্যা পঞ্চায়েত এলাকায় রাজ্য সভাপতিকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। কড়িধ্যার রোড-শো শেষ করে সিউড়িতে দলের জেলা কার্যালয়ে যান সুকান্ত। সেখান থেকে এ দিন বোলপুরে চলে যান তিনি। আজ, বুধবার বোলপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
নাম না-করে অনুব্রতকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেছেন, “এই এলাকার বাঘ এখন তিহার জেলে পালিশ হচ্ছে। তাই এখানকার বাঘ এখন ছাগ হয়ে গিয়েছে!” যদিও তৃণমূলের দাবি, প্রথম তিন দফার ভোটের পরে হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই অবান্তর আক্রমণ করছে বিজেপি। পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত।
সুকান্তর বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “ইতিমধ্যেই প্রথম তিন দফার ভোট শেষ। ওরা বুঝে গিয়েছে, চার ভাগের তিনভাগ আসনেই তৃণমূল জিতছে। তাই সবাইকে ময়দানে নামিয়ে হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা করছে। অনুব্রত মণ্ডল জেলে থাকুন বা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মানুষ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নে বিশ্বাস রাখে। ওরা যতই আক্রমণ করুক, বীরভূম তথা বাংলায় আমরাই জিতব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy