দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের এক আহত কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বিজেপির দাবি, শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলে গুরুতর আহত হয়েছেন ওই তৃণমূল কর্মী। দিলীপের দাবি, ‘উনি প্রতিবাদী’। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের কথা নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি, দিলীপকেও কটাক্ষ করেছে তারা।
শনিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ। সেখানে ভর্তি থাকা স্বপন মল্লিককে দেখতে যান তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১০ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে ওই তৃণমূল কর্মী জখম হন। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, ইদের উপহার দিতে স্ত্রী রূপা মল্লিক এবং এক নাতনিকে নিয়ে মেয়ের বাড়ি শিড়রাই গ্রামে গিয়েছিলেন স্বপন। শিড়ারাই আর পোতনার মাঝামাঝি জায়গায় তাঁর উপরে হামলা হয়। বাইক আটকে স্বপনকে লাঠি এবং টাঙ্গি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
স্বপনের বাড়ি মনোহরপুর সুজাপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বপনের সঙ্গে দীর্ঘ দিন বিবাদ চলছিল তাঁর গ্রামেরই নেতা ইমদাদুল হক মল্লিক ওরফে তারার। মাস কয়েক আগে গ্রামে ঢোকার মুখে কয়েক জন দুষ্কৃতী তারাকে ঘিরে ধরে মারধর করে। তিনি এখনও চিকিৎসাধীন। তখন স্বপনের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তারই পাল্টা হিসাবে স্বপনের উপর হামলা হয় বলে দাবি তৃণমূলের একাংশের। তবে বিজেপি বলছে, ‘‘তৃণমূলের কাছে মুসলমানেরা সুরক্ষিত নন। বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজন দুর্নীতি করেছে ১০০ দিনের কাজে। তার প্রতিবাদ করায় আর এক তৃণমূল কর্মীকে আক্রান্ত হতে হয়েছে।’’
আহতকে দেখে আসার পর দিলীপ বলেন, ‘‘চুরি বা যে কোনও অন্যায় দেখে প্রতিবাদ করলেই তৃণমূল নেতারা আক্রমণ করছে। তাতে তৃণমূল কর্মীরাও রেহাই পাচ্ছেন না। বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজন ১০০ দিনের কাজের টাকা লুট করেছে। স্বপন তার প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা স্বপনের পরিবারের পাশে আছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওঁরা খুবই গরিব। যতটা পারলাম সাহায্য করেছি। আগামিদিনেও আমরা সাহায্য করব।’’
আহতের স্ত্রী রূপা জানান, তাঁর সামনেই স্বামীকে মারধর করা হয়েছে। বাধা দিতে গেলে তাঁকে এবং নাতনিকেও আক্রমণ করা হয়েছে। তিনি দোষীদের সাজা দাবি করেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের কটাক্ষ, ‘‘দিলীপ ঘোষ ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাই সহানুভূতি আদায়ের জন্য হাসপাতালে গিয়েছেন।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। আর দল স্বপনের পাশেই রয়েছে। এই ঘটনায় গলসির বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুইকে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু বিধায়ক ফোন তোলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy