দেব। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোট চলাকালীন ফের আইনি বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল অভিনেতা-সাংসদ দেবের ‘প্রতিনিধি’ রামপদ মান্না।
এক মহিলাকে আশাকর্মীর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশ এফআইআর দায়ের করতে চায়নি, এই অভিযোগে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওই মহিলার পরিবার। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হতে পারে। যদিও রামপদ সব অভিযোগ অস্বীকার করে ‘ষড়যন্ত্র’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন। ঘাটালের সাংসদ দেবেরও দাবি, ‘‘এটা বিরোধীদের চক্রান্ত।’’
তৃণমূল নেতা রামপদ ঘাটালে সাংসদ-প্রতিনিধি। আদালতের খবর, মৌসুমি সাঁতরা নামে ওই মহিলা ২০২২ সালে আশাকর্মীর পরীক্ষায় বসেছিলেন। মে মাসে ইন্টারভিউয়ের ডাক পান। তার পরে ডাক পাননি। অভিযোগ, এর পরে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এক কর্মীর মাধ্যমে রামপদর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। মৌসুমির পরিবারের দাবি, তিন দফায় কয়েক লক্ষ টাকা দিলেও চাকরি হয়নি। টাকাও ফেরত পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে ই-মেলে জেলা পুলিশের কাছে অভিযোগ পাঠান তাঁরা। তবে কোনও এফআইআর পুলিশ রুজু করেনি বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা এমন অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও ঘাটালে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার কথা উঠেছে এবং সেই সংক্রান্ত অডিয়ো-ক্লিপ ‘ভাইরাল’ হয়েছে (যদিও আনন্দবাজার পত্রিকা সেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি)। সেই সব অডিয়ো-ক্লিপেও রামপদর নাম শোনা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই সব ক্লিপ নিয়ে তদন্ত হয়েছে কি না অথবা তদন্ত হলেও তার পরিণতি কী হয়েছে সে ব্যাপারে যথেষ্ট ধোঁয়াশা আছে বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy