কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সামনের রাস্তার দু’ধারের দোকানদারদের অস্থায়ী জায়গায় উঠে যাওয়ার জন্য নোটিস জারি করল কামারহাটি পুরসভা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণেশ্বর রানি রাসমণি রোডের দু’পাশের দোকানদারদের হাতে নোটিস পৌঁছে দেন পুর-কর্মীরা। পুরসভা সূত্রের খবর, নোটিস পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে দোকানদারদের জায়গা খালি করে দিতে হবে। দোকানদারেরা অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা কোনও মতেই নিজেদের জায়গা ছাড়বেন না।
এ দিন নবান্নে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে কামারহাটি পুরসভা নোটিস দিয়েছে। তিন দিন পরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে দোকানদারেরা জায়গা খালি করেছেন কি না।’’ পুরমন্ত্রী আরও জানান, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পিছনে মা জননী সারদা রোডে পুরসভা ইতিমধ্যেই অস্থায়ী দোকান করে দিয়েছে। সেখানেই ১৩৬ জন দোকানদারকে পুর্নবাসন দেওয়া হবে। রানি রাসমণি রোড খালি হয়ে গেলেই স্কাইওয়াকের কাজ শুরু হবে। ১৮ মাসে কাজ শেষ হবে।
পুরসভার তৈরি অস্থায়ী জায়গায় গেলে ব্যবসায় ক্ষতি হবে বলে দাবি করেছেন দোকানদারেরা। কিন্তু তা মানতে নারাজ কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূলের গোপাল সাহা। তিনি বলেন, ‘‘কাজের জন্য মূল রাস্তা বন্ধ রেখে মন্দিরের পিছনের দিকের রাস্তা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। অস্থায়ী দোকানের সামনে দিয়েই মন্দিরে যেতে হবে। তা হলে ব্যবসার ক্ষতি হবে কেন?’’ পুরমন্ত্রীও বলেন, ‘‘দোকানদারেরাই তো আদালতে গিয়েছিলেন। ওঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করেছিলাম। ওঁরা তা মানেননি। এ বার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তা সবাইকে মানতে হবে। আইনের উপরে কেউ নয়।’’
যদিও রানি রাসমণি রোড দোকানদার সমিতির সম্পাদক অজিত সিংহ বলেন, ‘‘নোটিস পেয়েছি ঠিকই। তবে এখনই জায়গা ছাড়ছি না। বিষয়টি বিচারাধীন। আদালত চূড়ান্ত রায় দেয়নি। তাই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy