দু’দিন আগেই জানা গিয়েছে খুচরো বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার সামান্য বেড়েছে। যার কারণ, সব্জি, ডালের মতো খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া। এ নিয়ে কিছুটা চিন্তায় পড়ে যায় শিল্পমহলের একাংশ। ভবিষ্যতে ওই হার আরও মাথা তুলবে কি না, তাই নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। বুধবার সেই একই ছবি পাইকারি বাজারেও। যেখানে টানা ১১ মাস ধরে পণ্যের দাম বাড়ার হার সরাসরি কমে চলেছে। এ দিন কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরেও পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা মূল্যবৃদ্ধির হার শূন্যের নীচেই রয়েছে। তবে আগের থেকে সামান্য উঠেছে। অগস্টে যা ছিল (-)৪.৯৫%, সেপ্টেম্বরে তা দাঁড়িয়েছে (-)৪.৫৪ শতাংশে। এবং সেটাও ডাল ও পেঁয়াজে মতো খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার জেরেই।
বস্তুত, খুচরো বাজারে ডালের মাত্রাছাড়া দামে রাশ টানতে এ দিনই একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়েছেন, এক দিকে ডাল আমদানির খরচ কমাতে ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিল তৈরি করবেন তাঁরা। যা পরিবহণ, প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদির খরচ মেটাতে ব্যবহৃত হবে। এতে খুচরো বাজারে জোগান বাড়বে। ক্রেতারাও তা পাবেন তুলনায় কম দামে। অন্য দিকে, জোগান সমস্যা মেটাতে তৈরি হবে বাড়তি ডাল মজুতের ব্যবস্থা। যাতে প্রয়োজনে সেখান থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আমদানি করেই এই মজুত তৈরি হবে বলে জানান জেটলি। তবে অর্থমন্ত্রীর দাবি পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণেই আছে।
খাদ্যপণ্যের দামের এই মাথা তোলা নিয়ে এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিল্পমহল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খাদ্যপণ্যের পাইকারি দাম বাড়ার হার অগস্টে ছিল শূন্যের নীচে ১.১৩%। কিন্তু সেপ্টেম্বরে মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৬৯ শতাংশে। দেশের বহু জায়গায় ভাল বৃষ্টি না-হওয়ায় বছরের শেষের দিকে দাম যে এটা ঘটতে পারে তার ইঙ্গিত অবশ্য আগেই দিয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন। তবে শিল্পমহলের দাবি, আমজনতার স্বস্তি ঘুচিয়ে দাম যাতে আরও না-বাড়ে সময় থাকতে থাকতেই তা নিশ্চিত করুক সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy