গাছে বাঁধা মাটির পাত্রে ভরা হচ্ছে জল |পুরুলিয়া বনবিভাগের আড়শা রেঞ্জ অফিস কার্যালয়ে |ছবি-দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়
তীব্র দাবদাহে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে গাছের ডালে জলের পাত্র বাঁধার ব্যবস্থা করল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রবিবার খাতড়ার মশক পাহাড়ের জঙ্গল, রঙ্কিনীতলা-সহ
বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে জল ভর্তি পাত্র বাঁধা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি বিপ্লব রজকের কথায়, “প্রখর রোদে পুকুর, ডোবা, খাল বিল শুকিয়ে যাওয়ায় পশু পাখিরা পানীয় জল পাচ্ছে না। ওদের কষ্ট দূর করতে বিভিন্ন জায়গায় এ দিন প্রায় শতাধিক মাটির পাত্রে জল ভরে গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
পাখিদের কথা ভেবেছে পুরুলিয়া বন দফতরও। পুরুলিয়া বন বিভাগের আড়শা, কোটশিলা, বাঘমুণ্ডি-সহ মোট আটটি বনাঞ্চলের রেঞ্জ অফিস থেকে শুরু করে বিট অফিস, নার্সারি-সহ পাখিদের আনাগোনা রয়েছে এমন এলাকার গাছে গাছে জল ভর্তি মাটির পাত্র বাঁধার কাজ প্রায় শেষ। সকাল বিকেল সেই জলে মুখ ডুবিয়ে স্বস্তি পায় জানা-অজানা পাখির দল। ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “প্রয়োজনে পাত্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।” শুধু পুরুলিয়া বন বিভাগ নয়, কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের বিভিন্ন এলাকাতেও একই ভাবে মাটির পাত্র বাঁধা হয়েছে গাছে গাছে।
দফতর জানাচ্ছে, বিভাগের সমস্ত রেঞ্জ মিলিয়ে আড়াইশোরও
বেশি জলের পাত্র বসানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পাখিদের বিশ্রামের জন্য বাঁধা হয়েছে মাটির হাঁড়ি। মাটির পাত্রের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় লক্ষ্মীলাভের আশা দেখছেন মৃৎ শিল্পীরাও। হাসি হাসি মুখে তাঁরা বলেন, “মাটির জিনিসের কদর ফিরলে মন্দ হয় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy