Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Officer's Recruitment dismissed

অস্বচ্ছতায় অফিসারের নিয়োগ বাতিল হাই কোর্টে

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে দুই চাকরিপ্রার্থী প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট নিয়োগের অভিযোগে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়।

কলকাতা হাই কোর্ট।

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৪ ০৮:০৯
Share: Save:

অস্বচ্ছতার কারণে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং অফিসার পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া রদ করল কলকাতা হাই কোর্ট। এই পদে কর্তব্যরত অফিসার মহেশ্বর মালোদাসের নিয়োগ বাতিল করেছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। ২০১৯ সালে এই নিয়োগ হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে
জানা গিয়েছে, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং অফিসার পদে নিয়োগের জন্য ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই পদে নিয়োগের জন্য স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর ও ১০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা
চাওয়া হয়। প্রায় ৫৬ জন প্রার্থী আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ তাঁদের মধ্যে থেকে দশ জনের একটি তালিকা তৈরি করে তাঁদের মৌখিক পরীক্ষায় ডাকেন। সেই দশ জনের তালিকায় ছিলেন মহেশ্বর মালোদাস। মৌখিক পরীক্ষার পরে চূড়ান্ত নিয়োগ হয় মহেশ্বরের।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে দুই চাকরিপ্রার্থী প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট নিয়োগের অভিযোগে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালত তার পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এই নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র চেয়ে পাঠান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে সে সব জমা দেওয়া হয়।

দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পরে সম্প্রতি আদালত এই মামলায় রায় ঘোষণা করেছে। আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, যিনি এই পদে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁর এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার চুড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হওয়ার জন্য চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতাই নেই। ফলে, তাঁর নিয়োগে অস্বচ্ছতা রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া রদ করা হচ্ছে। আইনজীবীদের সূত্রে জানা যায়, আদালত জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটিই পক্ষপাতদুষ্ট, পক্ষপাতমূলক ও অস্বচ্ছ। এই অবস্থায় কর্মরত ব্যক্তির নিয়োগ বাতিল হওয়ার পাশাপাশি পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া রদ হওয়া উচিত।

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ামক চন্দন কোনার বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশের কপি হাতে পেয়েছি। সেই নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ তিনি আরও জানান, এই নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজপত্র আদালতের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চাওয়া হয়েছিল। সে সব আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

যাঁর নিয়োগ নিয়ে এই মামলা সেই মহেশ্বর মালোদাসের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে বার বার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। জবাব দেননি তাঁকে পাঠানো মেসেজেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta High Court Asansol
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE