ওয়াক্সিং করাবেন, না সুগারিং? ছবি: সংগৃহীত।
রাসায়নিক দেওয়া ক্রিম নয়, দেহের অবাঞ্ছিত রোম তুলতে ওয়াক্সিং-ই ভরসা। তবে, ত্বকে ঘন ঘন এই ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করলে অনেকেরই নানা রকম সমস্যা হয়। রাসায়নিক দেওয়া ক্রিমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি। তবে, লেজ়ার ট্রিটমেন্ট, ওয়াক্স বা থ্রেডিং করার বিপদও কম নয়। ওয়াক্স করানোর পর অনেকেরই ত্বকে র্যাশ বার হয়। লাল হয়ে ত্বকে চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। সম্প্রতি ১৭ বছর বয়সি আমেরিকার এক তরুণী সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন আরও একটি সমস্যার কথা।
হাতের অবাঞ্ছিত রোম তুলতে সালোঁ গিয়েছিলেন তিনি। রোম তুলতে গিয়ে গরম ওয়াক্স হাতে লেগে বিপজ্জনক ভাবে পুড়ে যায়। রোম তোলা দূর, সেই ক্ষত সারতেই মাসখানেকের উপর সময় লেগে যায়। আগে প্রসাধনী নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার এত চল ছিল না। রোম তুলতে অনেকেই বাড়িতে চিনি, লেবুর রস এবং জল দিয়ে তৈরি মিশ্রণের উপর ভরসা রাখতেন। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই সালোঁ ছেড়ে আবার সেই প্রাচীন পদ্ধতিতে ফিরে যেতে চাইছেন। যা একই সঙ্গে খরচের দিক থেকেও পকেটসই।
ত্বকে সুগারিং করলে কী কী উপকার হবে?
১) যে হেতু এই মিশ্রণ চিনি কিংবা মধু, লেবুর রস, জলের মতো প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি, তাই স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য তা একেবারেই নিরাপদ।
২) ত্বকের অবাঞ্ছিত রোম তোলার পাশাপাশি এই মিশ্রণ ‘এক্সফোলিয়েটর’ হিসেবেও দারুণ কাজ করে। ফলে ত্বকের মসৃণ ভাব বজায় থাকে।
৩) রোম তোলার অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে সুগারিং-এর গ্রহণযোগ্যতা বেশি। কারণ, এই পদ্ধতিতে রোম তুললে অনেকেরই ব্যথা কম হয়।
৪) রোম তুলতে বেশি রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকে পিগমেন্টেশন দেখা দিতে পারে। ওয়াক্স করার পর ত্বকে অ্যালার্জিজনিত সমস্যাও হতে পারে। তবে, সুগারিং সেই দিক থেকে নিরাপদ।
৫) সুগারিং করালে রোমের ঘনত্ব কমে। তবে এক দিনে নয়, রোম তোলার পাশপাশি রোমের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে সালোঁয় গিয়ে প্রতি মাসে ওয়াক্সিং না করিয়ে সুগারিং করা ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy