Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Bhopal

‘তালাক-তালাক-তালাক’! স্ত্রীকে ‘বিচ্ছেদ’ দিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পলাতক তরুণ

চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি আরশাদের সঙ্গে বিয়ে হয় আফসানার। ‘ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইট’ থেকে তাঁদের আলাপ হয় এবং সেই আলাপ থেকেই বিয়ে।

—প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৪ ১০:৫৫
Share: Save:

বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে ট্রেন সফর। কিন্তু সেই সফরেই তরুণীর সংসার শুরু হতে না হতেই ভেঙে গেল। ট্রেন তখন স্টেশনে ঢুকবে ঢুকবে করছে। চলন্ত ট্রেনেই হঠাৎ ‘তালাক-তালাক-তালাক’ বলে চিৎকার করে উঠলেন তরুণীর স্বামী। তার পর চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপিয়ে পালিয়ে গেলেন। সোমবার উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি স্টেশনের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। ২৮ বছর বয়সি পলাতক তরুণের নাম মহম্মদ আরশাদ। আরশাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী আফসানা। ২৬ বছরের আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে পলাতক আরশাদকে খুঁজে বার করার জন্য তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাতের পুখরায়া স্টেশন থেকে ভোপালগামী একটি ট্রেনে উঠেছিলেন আরশাদ এবং আফসানা। আরশাদ পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। ভোপালের একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন তিনি। রাজস্থানের কোটা থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পাশ করেছেন আফসানা।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে আফসানা জানান, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি আরশাদের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ‘ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইট’ থেকে তাঁদের আলাপ হয় এবং সেই আলাপ থেকেই বিয়ে। আরশাদের সঙ্গে বিয়ের পর এপ্রিল মাসে পুখরায়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে যান আফসানা। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, আরশাদ বিবাহিত। তাঁর প্রথম স্ত্রী সেই বাড়িতেই থাকেন। বিয়ের কথা গোপন করেন বলে আরশাদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় আফসানার।

আফসানার অভিযোগ, পণের জন্য তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অশান্তি করতে শুরু করেন। সেই অশান্তি চলাকালীন আরশাদের সঙ্গে ভোপাল যাওয়ার জন্য রওনা দেন আফসানা। তরুণীর দাবি, ভোপাল যাওয়ার ট্রেনটি যখন ঝাঁসি স্টেশনে ঢোকার মুখে, তখন আফসানাকে ‘তিন তালাক’ দিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে পালিয়ে যান আরশাদ।

আফসানার আরও দাবি, ‘তালাক’ দেওয়ার আগে তাঁকে মারধরও করেন আরশাদ। ঘটনার পর রেলকর্মীদের সব জানান আফসানা। তার পর তরুণীকে পুখরায়া স্টেশনে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তাঁরা। থানায় আরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী। এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নজরও কেড়েছেন আফসানা। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁকে সাহায্য করার অনুরোধ করেছেন। এই ঘটনায় যেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয় সেই আর্জিও জানান তিনি। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পলাতক আরশাদকে খুঁজে বার করতে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ। আরশাদের পাশাপাশি তাঁর বাবা-মা এবং মামার বিরুদ্ধেও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE