(বাঁ দিকে) করিনা কপূর। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া (ডান দিকে) । ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে তাঁর সফল কেরিয়ার। ঘরে বাইরে পাল্লা দিয়ে সামাল দিচ্ছেন করিনা কপূর খান। এক দিকে সংসার, অন্য দিকে কর্মজীবন, দু’টি দিক ভারসাম্য রেখে চলছেন তিনি।
এ বার করিনার সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হল নয়া পালক। ইউনিসেফে ভারতের প্রচারদূত হিসাবে নিযুক্ত হলেন বলিউডের বেবো। যদিও করিনা ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২০১৪ সাল থেকে। ফলে ১০ বছর ধরে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তিনি। তবে বেবোকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারদূত ঘোষণা করতেই বিদেশ থেকে বার্তা এল প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার।
মেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য অনেক দিন ধরেই ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসাবে কাজ করছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ইউনিসেফের ‘গার্ল আপ’ (একটি প্রকল্প) প্রচারের সঙ্গেও সক্রিয় ভাবে যুক্ত তিনি। এ ছাড়া অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করেন প্রিয়ঙ্কা। সচেতনতামূলক কাজের পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনও দেন ‘দেশি গার্ল’। এ বার সেই জুতোয় পা গলালেন করিনা।
এত দিন করিনা ইউনিসেফের তারকা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতেন। এ বার উত্তরণ ঘটল তাঁর। হলেন প্রচারদূত। এমন একটা দায়িত্ব পেয়ে আপ্লুত অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েকটি বছর শিশু ও নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য ইউনিসেফ যে ভাবে কাজ করে চলেছে, তার জন্য গর্বিত আমি। ওদের কাছ থেকে প্রতি দিন অনুপ্রাণিত হই। আসলে প্রতিটি শিশুর সুস্থ শৈশব ও যথাযথ সুযোগ, একটি ভাল ভবিষ্যৎ প্রাপ্য। আশা করছি, ভবিষ্যতেও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই।’’
বেবোর এই সাফল্যে খুশি একদা তাঁর প্রতিযোগী প্রিয়ঙ্কা। এক সময় নাকি মুখ দেখাদেখিই ছিল না দুই অভিনেত্রীর। একে অপরকে প্রকাশ্যে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি তাঁরা। তবে সময় বদলেছে। এখন একে অপরের বন্ধু তাঁরা। তাই করিনাকে ইউনিসেফ পরিবারে স্বাগত জানিয়ে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘‘তোমাকে পরিবারে স্বাগত! এই পরিবারের জন্য ভীষণ রকম ভাবে যোগ্য একজন মানুষ তুমি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy