কঙ্গনা রানাউত। —ফাইল চিত্র।
দু’জনেই তেজস্বী। কিন্তু এক জন সৌরবংশীয়, অন্য জন যদুবংশীয়। মাণ্ডিতে রামায়ণ আর মহাভারত গুলিয়ে ফেলার মতোই একশা কাণ্ড করে বসলেন বিজেপির ভোটপ্রার্থী কঙ্গনা রানাউত। ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের তেজস্বী যাদবকে উদ্দেশ করতে গিয়ে নিজেরই দলের তেজস্বী সূর্যকেই বিদ্ধ করে বসলেন মনুষ্য এবং মৎস্যকুলে ত্রাস সঞ্চারের অভিযোগে।
বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হয়ে অভিনেত্রী কঙ্গনা দীর্ঘদিন ধরে সমাজমাধ্যমে লড়ে আসছেন। সমালোচনা, কটাক্ষ, প্রতিবাদ বা তর্কে না দমে নিজের মত এবং অমতে অনড় থেকেছেন। বছর তিনেক আগে সেই সময়ের টুইটারে উস্কানি ও অভব্যতার মাত্রা ছাড়ানোর অভিযোগে কঙ্গনাকে নিষিদ্ধ করেছিলেন সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার পরেও তিনি টলেননি। এ বার হিমাচলের মাণ্ডি থেকে বিজেপি লোকসভার প্রার্থী করেছে তাঁকে। ১ জুন, শেষ দফায় সেখানে ভোটগ্রহণ।
শনিবার মান্ডির সুন্দরগড়ে কঙ্গনার জনসভা ছিল। ঠিক চলছিল প্রথমে সমস্ত কিছু। প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিংহ এবং রাহুল গান্ধীকে বিদ্ধ করে যাচ্ছিলেন। জওহরলাল নেহরু দিয়ে শুরু করে পরিবারবাদী রাজনীতি বিষয়ে তাঁদের নানা আপত্তির কথা বলে চলেছিলেন। তার মধ্যেই কটাক্ষে-কটাক্ষে বলেন, “শাহজাদাদের দল আছে কয়েকটা। তা সে রাহুল গান্ধীই হোন, যিনি চাঁদে আলু চাষ করতে চান অথবা তেজস্বী সূর্য, যিনি গুন্ডামি করে বেড়ান আর মাছ খান।”
বক্তব্যের দ্বিতীয় অংশের গুন্ডামির অভিযোগ সরিয়ে রেখে নিশানা-বিচার করে ভাবা যেতে পারে, কঙ্গনার লক্ষ্য নিশ্চয় লালু প্রসাদের ছেলে, বিহারের আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। কারণ, সেই তেজস্বীই গত ৯ এপ্রিল চৈত্র নবরাত্রির প্রথম দিনে প্রচারের ফাঁকে হেলিকপ্টারে বসে মাছ খাওয়ার একটি ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডলে (আগের টুইটার) প্রকাশ করেছিলেন। উত্তর ভারতের হিন্দু সমাজের একাংশের লোকাচারের সূত্রে তা নিয়ে তাঁকে নিশানা করেছিলেন মোদী-সহ বিজেপির নেতারা। তেজস্বী একই ভাবে তাঁর কমলালেবু খাওয়ার একটি ভিডিয়ো দিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেন বিজেপিকে। পাশাপাশি অবশ্য এই দাবিও করেছিলেন যে, ভিডিয়োটি চৈত্র নবরাত্রি শুরুর আগে তোলা।
বেঙ্গালুরু দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তেজস্বী সূর্যের কঙ্গনার এই নাম-বিভ্রাট নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy