নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের কৃতীরা। সংগৃহীত ছবি।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মাধ্যমিকের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার পর দেখা গেল আবারও নজরকাড়া সাফল্য নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের। এ বারে প্রথম দশের মেধাতালিকায় রয়েছে মোট ৫৭ জন। তার মধ্যে ছ’জন পড়ুয়াই মিশনের ছাত্র! প্রতি বছরের মতো এ বারও দৃষ্টান্ত গড়ল মিশনের পড়ুয়ারা।
মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে নৈর্ঋতরঞ্জন পাল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। ষষ্ঠ স্থানাধিকারী অলিভ গাইন। তার ঝুলিতে ৬৮৮ নম্বর। ৬৮৭ নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে আলেখ্য মাইতি। এর পর নবম স্থানে যুগ্ম ভাবে রয়েছে ঋত্বিক দত্ত এবং ঋতব্রত নাথ। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। সব শেষে, ৬৮৪ নম্বর পেয়ে দশম স্থান দখল করে নিয়েছে শুভ্রকান্তি জানা।
প্রত্যেকেই জানিয়েছে, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল হয়েছে তাদের। কিন্তু তাই বলে মেধাতালিকার প্রথম দশেই ঠাঁই হবে, এমনটা অনেকেই ভাবেনি। বছরের বেশির ভাগ সময় যে হেতু মিশনেই কাটত, তাই সাফল্যের অধিকাংশ কৃতিত্বই মিশনের মহারাজ থেকে শুরু করে ভবন শিক্ষক এমনকি শিক্ষাকর্মীদেরই দিতে চেয়েছে কৃতীরা।
কিন্তু প্রতি বছর কোন জাদুমন্ত্রে এই সাফল্যের নজির গড়ছে তার স্কুল? কী জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ? তিনি জানিয়েছেন, আবাসিক বিদ্যালয়ের নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাই রয়েছে এই সাফল্যের নেপথ্যে। পাশাপাশি, তাঁর দাবি, সমাজমাধ্যমের যুগে ছাত্রদের মোবাইল ব্যবহারে কড়া নিষেধাজ্ঞাও পরীক্ষার্থীদের ভাল ফলের কারণ।
কৃতীদের মধ্যে কেউ হতে চায় ইঞ্জিনিয়ার, কেউ বা চিকিৎসক। আবার কয়েক জন সরকারি আমলা হওয়ারও স্বপ্ন দেখে। ভবিষ্যতের পরীক্ষার্থীদের জন্য তাদের বার্তা, কত ক্ষণ পড়ছে সেটা বড় কথা নয়। মনোযোগ সহকারে খুঁটিয়ে পড়লে পরীক্ষায় ভাল ফল হবেই।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মোট ৯,১০,৫৯৮। এর মধ্যে ৪,০৩,৯০০ জন ছাত্র এবং ৫,০৮,৬৯৮ জন ছাত্রী। অর্থাৎ ছাত্রদের তুলনায় ২৫.৯ শতাংশ বেশি ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৭,৬৫,২৫২ জন। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ কিংবা নকল করার অপরাধে বাতিল হয়েছিল ৪৬ জনের পরীক্ষা। ২ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy